May 15, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

মাত্র ৩ মিনিট স্পিক্চু টু নট চমকে দেবে ফল 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মরা তো আজকাল শব্দের মাঝে বাস করি। বাড়ির বাইরে গাড়ি ঘোড়ার আওয়াজ, আর অন্দরে টেলিভিশনের দাপাদাপি। সেই সঙ্গে লেজুর হিসাবে মোবাইল ফোন তো আছেই। তাই কতক্ষণ যে আমরা একটু নিঃশব্দের মধ্যে থাকি তা বলা বেশ মুশকিল। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন চুপ থাকার কিন্তু আনেক উপকারিতা আছে। এমনটা করলে শরীরে যেমন ভেতর থেকে তরতাজা হয়ে ওঠে, তেমনি মানসিক চাপও কমে। তাই তো প্রতিদিন প্রাণায়ম করার পরামর্শ দেন যোগগুরুরা।

মাত্রাতিরিক্ত শব্দ শরীরে কু-প্রভাব ফেলে। সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি এবং মানসিক চাপও বাড়ায়। আর নিঃশব্দতা কী করে? সেই নিয়েই তো আলোচনা করব বাকি প্রবন্ধে।

মনসংযোগ বাড়ায়: যত চুপ থাকবেন বা নিঃশব্দতাকে সঙ্গী করবেন, তত মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে। আর এমনটা হলে বাড়বে মনসংযোগও। বেশি নয়, দিনের শুরুতে মাত্র তিন মিনিট চুপ থাকুন। তাহলেই দেখবেন আপনার কর্মক্ষমতা কতটা বেড়ে যাবে।

ব্রণ সেলের বৃদ্ধি ঘটায়: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন যদি নিয়ম করে প্রাণায়ম করা যায়, তাহলে ব্রেণ সেলের জন্মহার অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়। আর এই নতুন কোষেরা জন্ম নেয় মস্তিষ্কের হিপোকম্পাসে, যা আমাদের নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা যেমন বাড়ায়, তেমনি স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায়।

মানসিক চাপ কমায়: যখন দেখবেন স্ট্রেস লেভেল বাড়ছে, তখনই একটা নিংশব্দ জায়গায় চলে যাবেন। সেখানে কিছুক্ষণ বসে বড় বড় শ্বাস নেবেন। এমনটা করলে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্য়েই মানসিক চাপ দূরে পালাবে। প্রসঙ্গত, মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মস্তিষ্ককে বিচলিত করে তোলে। ফলে সারা শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অপরদিকে নিঃশব্দতা ব্রেণকে শান্তি প্রদান করে, যা টেনশন দূর করার মক্ষম দাওয়াই।

অনিদ্রা দূর করে: নীরবতা ঘুমের সারকেলকে স্বাভাবিক করে। ফলে অনিদ্রার সমস্য়া দূর হয়। তাই তো যোগগুরুরা বলে থাকেন, দিনে যদি আধ ঘন্টা মেডিটেশন করা যায়, তাহলে অনিদ্রা, আবসাদ এমনকী ক্লান্তি দূর হয়। ফলে শরীর ও মন, দুই-ই তরতাজা হয়ে ওঠে।

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে: যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত যদি কিছুটা সময় শান্ত পরিবেশে কাটান, তাহলে রক্তচাপ নরমাল হতে শুরু করে। কারণ নীরবতা শরীরকে ভিতর থেকে চাঙ্গা হয়ে উঠতে সাহায্য করে।

ডিফল্ট মোড: যখন শব্দ কানের ধারেকাছে পৌঁছাতে পারে না তখন মস্তিষ্ক তার পুরনো বা ডিফল্ট সেটিং-এ ফিরে যায়। আর এমনটা হলে সৃজনশীলতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি সার্বিকভাবে মনের শান্তি ফিরে আসে। তাই যারা নানা রকমের সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের তো নিয়ম করে চুপ থাকাটা জরুরি।

ক্লান্তি দূর করে: প্রচণ্ড আওয়াজের মধ্যে থাকলে নানা কারণে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পরে। তাই প্রাণশক্তি ফিরে পেতে দিনের কিছুটা সময় নিঃশব্দে কাটানো জরুরি। এমনটা করলে শরীরও মস্তিষ্ক তার হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য় ফিরে পায়। ফলে উভয়ের কর্মক্ষমতাই বৃদ্ধি পায়।

Related Posts

Leave a Reply