May 9, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

সিভিতে এই ৮টি পয়েন্ট লিখেছেন কি সারাজীবনেও  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

চাকরি পাওয়ার আগে আপনার সম্পর্কে ধারণা করতে যে জিনিসটি সংস্থার হাতে সবার আগে যায় সেটি আপনার সিভি। যাকে চাকরি দেওয়ার সমভাবনা রয়েছে, তার সম্পর্কে জানতে হবে বিস্তারিত। আপনিও জানাতে চাইবেন এই বিষয়টি। কিন্তু সব কিছুরই একটা পদ্ধতি রয়েছে। যেমন-তেমন ভাবে তৈরি করা সিভি শেষপর্যন্ত উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি করতে পারে। তাই জেনে নিন কোন কোন পয়েন্টসগুলি সিভিতে কখনই রাখবেন না। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাকে চাকরি দেওয়া হবে বা হবে না, সেটা নির্ণয় করতে প্রাথমিকভাবে ৬ সেকেন্ড সময় নেন রিক্রুটমেন্ট অফিসার। যদি আপনাকে পছন্দ হয়, তবেই কথা এগোবে। তাই বুঝতেই পারছেন সঠিক সিভি আপনাকে সাফল্যের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে।
সংক্ষিপ্ত সিভি: অনেকের ধারণা রয়েছে যত পাতার সিভি হবে এমপ্লয়ার তত বেশি খুশি হবেন। ব্যাপারটি একেবারেই সত্যি নয়। মনে রাখবেন, চাকরির জন্য আপনি একাই দরখাস্ত করেননি। আরও অনেকে রয়েছেন। তাই আপনার সম্পর্কে যেটা না জানালেই নয় সেটাই রাখুন।
বেশি কাজের অভিজ্ঞতা: আপনি অনেক সংস্থায় কাজ করেছেন। আপনার প্রচুর অভিজ্ঞতা। সবই বোঝা গেল। সঙ্গে এটাও মনে রাখবেন, যত বেশি সংস্থায় আপনি কাজ করেছেন আপনি তত বার চাকরি পাল্টেছেন। তাই বুঝে শুনে অভিজ্ঞতার কথা লিখুন। খুব অল্প দিনের জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা না দিলেই ভালো হয়।
ব্যক্তিগত তথ্য: আপনি বিবাহিত কিনা, আপনার জন্ম তারিখ, আপনার হবি, আপনার ধর্ম কি এ ব্যাপারে এমপ্লয়্যার একেবারেই আগ্রহী নয় এটা সবার আগে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। ব্যক্তিগত ব্যাপারে জানার থাকলে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে নেওয়া হবে। আলাদ করে দেওয়ার দরকার নেই।
মিথ্যে তথ্য দেওয়া: না ইয়ে মানে…। ভীষণ খারাপ প্র্যাক্টিস। উল্টো দিকের মানুষটিকে বোকা মনে করলে খালি হাতেই ফিরতে হবে। মিথ্য তথ্য লিখবেন না। মনে রাখবেন মিথ্য ধরা পড়ে গেলে চাকরি হওয়ার পরেও নাকচ হয়ে যেতে পারে।
বর্তমান কাজের জায়গায় তথ্য এবং বসের নাম: নতুন চাকরির খোঁজে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন। তাই বলে বর্তমান কাজের জায়গায় যাবতীয় তথ্য সিভিতে লেখার কোনও কারণ নেই। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না চাকরির খবর আপনার অফিসেও পৌঁছে যাক বা কাজের ব্যাপারে অফিসেই আপনাকে ফোন করা হোক।
স্যালারি স্ট্রাকচার: আগে তো আপনার কাজ এবং অভিজ্ঞতা। সেটা যদি পছন্দ হয় তবেই স্যালারির প্রসঙ্গ আসবে। তাই কষ্ট করে ওটা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনাকে পছন্দ হলে এমনিতেই এইচআর আপনার কাছে চেয়ে নেবে।
কেন চাকরি বদলাতে চাইছেন: আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। যদি অন্য কোনও সমস্যা থেকেও থাকে, সেটা বলার জন্য ইন্টারভিউর সময়টাকে ব্যবহার করুন। অযথা আগ বাড়িয়ে বলতে গেলে বেকার সমস্যায় জড়াতে পারেন।
নিজের সম্পর্কে বাড়িয়ে বলা: ‘আমি ওমুক করেছি’, ‘আমি খুব মোটিভেটেড’, ‘আমার কমিউনিকেশন স্কিল খুব ভালো’ ইত্যাদি বলার কোন দরকার নেই। আপনি কি বা কে সেটা ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় রিক্রুটমেন্ট অফিসারই ঠিক করে নেবেন।

Related Posts

Leave a Reply