May 11, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সাবধান! ঘি-তে এই ভয়ঙ্কর জিনিস মেশানো নেই তো?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
রম ভাতের সঙ্গে ঘি আর বেগুন ভাজা, উফফ… এমন মেনু যে কোনও বাঙালি বাড়িতে যে কোনও দিন হিট আইটেম। তাই না? আরে সেই কারণেই তো এই প্রবন্ধটি লেখা। আরে নানা কোনও রেসিপির কথা বলছি না। বরং আরও ভয়ঙ্কর একটা সত্যের সামনে দাঁড় করাতে চলেছি আপনাদের। একাধিক অনুসন্ধানের পর জানা গেছে কম দামি বাজার চলতি বেশিরভাগ ঘি বানাতে এমনসব উপাদান ব্য়বহার করা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে শরীরে প্রবেশ করলে মৃত্যু অবধারিত। তাই তো আপনাদের কাছে অনুরোধ খেতে হলে ভাল ব্র্যান্ডের ঘি খান, নয়তো খাবেন না। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে রাস্তার বেশিরভাগ খাবারে যে তেল, ঘি বা ডালডা ব্যবহার করা হয়, তার বেশিরভাগই হাড়ের গুঁড়ো, পাম তেল এমনকী মারাত্মক সব কেমিকেল দিয়ে বানানো হয়, যা দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে ভয়ঙ্কর সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়।
নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন? দাঁড়ান দাঁড়ান অবাক হতে তো এখনও ঢের দেরি। একবার যদি চোখ রাখেন বাকি প্রবন্ধে, তাহলে একথা হলফ করে বলতে পারি আর কোনও দিন রাস্তার খাবার খাবেন না। এমনকী ঘি-ও মুখে তুলবেন কিনা সন্দেহ।
তথ্য় ১: বিষাক্ত ঘি বারে বারে খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বহু গুণে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, রক্ত প্রবাহ বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। তাই এবার থেকে আর যেখান-সেখান থেকে ঘি কিনবেন না। না হলে যে কোনও সময় যে কোনও একটা বিপদ ঘটে যেতে পারে।
তথ্য় ২: হাড়ের গুঁড়ো মেশান ঘি খেলে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে এমন বিষাক্ত ঘি থেকে সারা শরীরে ঘা হতে পারে, হজম ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমনকী লিভার এবং কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
তথ্য় ৩: ঘি-তে যদি লিড অ্যানিমিয়ার মতো টক্সিনের মাত্রা যদি বেশি থাকে, তাহলে তা থেকে মস্তিষ্কের নানা রোগ হতে পারে।
তথ্য় ৪: বিষাক্ত ঘিতে যদি ক্যাডমিয়াম নামে একটি উপাদান থাকে, তাহলে তা শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়। এই বিষাক্ত উপাদানটি ইউরিনারি ট্রাক্ট এবং কিডনিরও মারাত্মক ক্ষতি করে।
তথ্য় ৫: আর যদি ক্রোমিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে লিভার আর হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর যদি এই ক্ষতিকর উপাদানটি প্রতিদিন শরীরে প্রবেশ করে তাহলে বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকে।
তথ্য় ৬: ঘি-তে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের যদি এই খাবারটি খেতে খুব ইচ্ছা হয়, তাহলে ভাল কোম্পানির ঘি কিনে খাবেন, যেখান সেখান থেকে একেবারেই কিনবেন না।
তথ্য় ৭: বিষাক্ত ঘি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ, যেমন- ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ প্রভৃতিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

Related Posts

Leave a Reply