May 10, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

এই ‘বিষাক্ত সাপেদের’ মেরে ফেলার আজব ৭টি দাওয়াই!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
থ্রি ইডিয়েট সিনেমার একটা সিন মনে আছে। যেখানে লবো নামের এক ছাত্র জীবন সংগ্রমে লড়ে উঠতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কী হয়েছিল তার, মনে আছে আছে কি? আমাদের সঙ্গে প্রায়শই যা ঘটনা ঘটে থাকে, তাই-ই হয়েছিল বছর ২৩ এর ওই ছাত্রের। প্রথমে প্রতিযগীতায় অংশ নেওয়া। তার পর নানা কারণে পিছিয়ে পরা। মানসিক চাপ, সেখান থেকে অবসাদ এবং মৃত্যু। তাই তো নিজেদের মনকে আগলে রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে কিন্তু বিপদ! মন খারাপ থেকে দূরে থাকাটা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন কিছু সহজ পদ্ধতি আছে, যাদের সাহায্য নিলে খুব সহজেই মন খারাপ বা অবসাদের মতো বিষাক্ত সাপেদের মেরে ফেলা অনেকাংশেই সম্ভব হয়। কী এই সব সহজ পদ্ধতি? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
প্রসঙ্গত, নানা কারণে অবসাদের শিকার হতে পারে কেউ। যেমন- জীবনযাত্রা, কাজের চাপ, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, জেনেটিক কারণ এবং মস্তিষ্কে কেমিকেল ইমব্যালেন্স। এই প্রবন্ধে আলোচিত পদ্ধতিগুলি এইসব কারণগুলির প্রভাবকে কমিয়ে মনকে পুনরায় চাঙ্গা করে চুলতে দারুন কাজে আসে। তাই তো মন খারাপ নামক সেই বিষাক্ত সাপটি আপনাদের দোরগোড়ায় আসার আগেই এই প্রবন্ধটি পড়ে নিজেকে প্রস্তুত করে নিন। কে বলতে পারে কখন কী পরিস্থিতি এসে যায়! ডিপ্রেশন বা মন খারাপের প্রকোপ কমাতে নানাবিধ আধুনিক চিকিৎসা আছে। তবে তার আগে এই প্রবন্ধে আলোচিত সহজ পদ্ধতিগুলি বাস্তবায়িত করে দেখতে পারেন। উপকার যে পাবেনই, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
টিপ ১: মন খারাপ থাকবে যখন, তখন বেশি করে মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। তাতে দেখবেন মন ভাল হয়ে যাবে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে যে কাউকে সাহায্য করার সময় নানা কারণে আমাদের শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওটে।
টিপ ২: মন খারাপ থাকলেই প্রথম যে কাজটি আমরা করি। তা হল সমাজের থেকে নিজেদের আলাদা করেনি। ফলে মন খারাপ আরও বেড়ে গিয়ে এক সময়ে সিভিয়ার ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই তো মন খারাপের সময় যত বেশি করে সম্ভব পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। এমনটা করলে দেখবেন মন ভাল হতে শুরু করে দেবে।
টিপ ৩: মন ভাল না থাকলে অল্প সময় একটু রোদে হাঁটাহাঁটি করবেন। এমনটা করলে কি হবে জানেন? আমাদের শরীরে ভিটামিন-ডি এর মাত্র বৃদ্ধি পাবে, যা মস্তিষ্কে ডোপামিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে মনকে একেবারে আনন্দে ভরিয়ে দেবে।
টিপ ৪: মনের অবস্থা যখন একেবারে ঠিক নেই, তখন নিজের চারিপাশটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলে দেখবেন মন হলকা হতে শুরু করেছে। আসলে যত সুন্দর পরিবেশে থাকবেন, তত তার সুপ্রভাব পরবে মনের উপর। ফলে মন খারাপ হওয়ার কোনও সুযোগই থাকবে না।
টিপ ৫: মিউজিক এবং আর্ট খেরাপির মাধ্যমে ডিপ্রেশন কমিয়ে ফেলে মনতে চাঙ্গা করে তোলা বাস্তবিকই সম্ভব। তাই তো মন খারাপের সময় গান শোনার পরামর্শ দেন মনোবিদের। এক্ষেত্রে নিজের পছন্দ মতো যে কোনও নতুন কিছু শিখতে শুরু করে দিন। ফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে।
টিপ ৬: পোষ্য মনের ক্ষত ভরিয়ে দিতে দারুন ভাবে সাহায্য করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বাড়িতে পোষা জানোয়ার থাকলে তার খেয়াল রাখতে গিয়ে এতটাই সময় চলে যায় যে খারাপ চিন্তা করার অবকাশই পাওয়া যায় না। ফলে মন খারাপ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, একটি কেস স্টাডিতে একথাও প্রমাণিত হয়েছে যে, যাদের বাড়িতে পোষা মাছ রয়েছে তারা যদি মন খারাপের সময় তাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাহলে মানসিক অবসাদ অনেকাংশেই হ্রাস পায়।
টিপ ৭: যতটা সম্ভব কফি এবং ঐ জাতীয় পানীয় কম খাবেন, যাতে ক্যাফিনের মাত্র বেশি রয়েছে। কারণ ক্যাফিন মানসিক অবসাদকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে পরিস্থিত হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

Related Posts

Leave a Reply