May 15, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

কম যান না ডনের স্ত্রীও, মাথার দাম ৫০ হাজার নিয়ে মোস্ট ওয়ান্টেড আতিকের স্ত্রী শায়িস্তা

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ, ভাই আফজাল ও ছেলের মৃত্যুতে ইউপির এক মাফিয়া ঘরানার অন্ত হল বলে মনে করা হয়েছিল । কিন্তু জানা গেছে শেষ হয়েও শেষ হয়নি সেই ঘরানা। কারণ এই তালিকায় এবার যে নাম উঠে এসেছে তিনি হলেন আতিকের স্ত্রী শায়িস্তা পারভিনও। 

যোগী পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ৫০ হাজার মাথার দাম নিয়ে হাজির শায়িস্তা। আইনজীবী উমেশ পাল খুনে আতিক, আশরফের পাশাপাশি শায়িস্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিলেন উমেশের স্ত্রী। বস্তুত, উমেশ খুনের মূল অভিযুক্ত হিসেবে শায়িস্তার নামই আছে পুলিশের খাতায়। যোগী পুলিশের দাবি, মাফিয়ারাজে আতিকের যোগ্য সহধর্মিণীই ছিলেন শায়িস্তার। অপরাধের বহর তাঁরও কম কিছু নয়। আতিক, আশরাফকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন থেকেই নিখোঁজ শায়িস্তা। তাঁকেই এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।

শ’খানেক অভিযোগ ছিল আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফের বিরুদ্ধে। সেইসব অপরাধের অংশীদার আতিকের স্ত্রী শায়িস্তাও। পুলিশ জানাচ্ছে, উমেশ পাল খুনের পর থেকেই শায়িস্তা লাইমলাইটে চলে আসেন। গ্যাংস্টার পরিবারের আরও এক সদস্যের নাম উঠে আসে পুলিশের খাতায়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সুলেমসরাইয়ে বাড়ির সামনে খুন করা হয় উমেশকে। ২০০৫ সালে খুন হয়েছিলেন বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল। সেই খুনে অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ। উমেশের খুনের পর আতিক, ভাই আশরফ, শায়িস্তা, আতিকের দুই ছেলে, সহযোগী গুড্ডু মুসলিম, গুলাম-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন উমেশের স্ত্রী জয়া পাল। সেই অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই শায়িস্তা ফেরার। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ শায়িস্তার মাথার দাম ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করেছে। ছেলে ও স্বামীর খুনের পরেও সামনে আসেননি তিনি। শায়িস্তার বাপের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সেখানেও পাওয়া যায়নি তাঁকে।

বাবা পুলিশ, স্বামী মাফিয়া। তবে শায়িস্তা বিয়ের আগে আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতো থাকলেও ১৯৯৬ সালে আতিকের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই বদলে যায় শায়িস্তার জীবন। ২০০৯ সালের পর থেকে অপরাধমূলক নানা কাজে স্বামী আতিকের পাশাপাশি তাঁর নামও উঠে আসে। খুন, জখম, অপহরণ, প্রতারণা সহ নানা অভিযোগ ছিল শায়িস্তার বিরুদ্ধে।

পুলিশ খতিয়ে দেখেছে, ২০০৯ সালের পর থেকে শায়িস্তার নামে তিন থেকে চারটি কেস পুলিশের খাতাতেই ছিল। তার মধ্যে প্রতারণা, খুন সহ নানা ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ২০২১ সালে শায়িস্তা বিএসপিতে যোগ দিয়েছিলেন।উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের পরেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে শায়িস্তা পারভিনের নামই উঠে আসে। ২০০৫ সালে খুন হয়েছিলেন বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল। সেই খুনে অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ।  উমেশের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয় শায়িস্তার বিরুদ্ধে।

Related Posts

Leave a Reply