May 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

বাতিল নয়, ‘ক্লিন নোট’

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

০০০ টাকার নোট বাতিল নাকি নোটবন্দি তা পরিষ্কার করতে হস্তক্ষেপ করতে হল এবার হাই কোর্টকে।একটি জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে সেই কথাই জানিয়েছে আরবিআই। যদিও আগেই দু হাজার টাকার নোট বাতিলের সঙ্গে ডিমনিটাইজেশন বা নোটবন্দির কোনও সম্পর্ক নেই বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন। 

তবে মামলার মূল বিষয় বিমুদ্রাকরণ বা নোটবন্দি নয়। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বীনি উপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার বিষয় দু হাজার টাকার নোট বদলের জন্য কেন নথিপত্র চাওয়া হচ্ছে না। শুরুতে বলা হয়েছিল ব্যাঙ্কে গিয়ে ফর্ম ফিলআপ করে এক সঙ্গে দশটি অর্থাৎ কুড়ি হাজার টাকা বদলানো যাবে। তাতে প্রথমে ধারণা হয়েছিল দিনে কুড়ি হাজার টাকার বেশি বদলানো যাবে না। পরে ব্যাখ্যা দেওয়া একবার কুড়ি হাজার টাকা ভাঙানো যাবে। বেশি টাকা ভাঙাতে হলে ফের লাইনে দাঁড়াতে হবে।

অশ্বীনির বক্তব্য, যেভাবে কুড়ি হাজার টাকার নোট বাতিলের আগে বদলানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে কালো টাকা সাদা করা সহজ হয়ে গিয়েছে। সকরকারের উচিৎ ছিল জমানো টাকার উৎস সম্পর্কে নোট বদলের সময়ে ফর্মে উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা।

যেহেতু ২০১৮-এর পর আর এই নোট বাজারে ছাড়া হয়নি ফলে পাঁচ বছর আগের নোটগুলি বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। এটা হল আরবিআইয়ের ‘ক্লিন নোট’ পলিসির অঙ্গ।

প্রশ্ন উঠেছে, শুধু দু হাজার টাকার নোটের ক্ষেত্রেই কেন আরবিআই ঘোষণা দিয়ে তা জমা করার কথা বলল। আরবিআইয়ের জবাব, সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট এখন দু হাজার টাকাই বাজারে আছে। যদিও সেগুলিতে লেনদেন কম হয়। বড় অঙ্ক বলেই সেগুলি তুলে নেওয়ার কথা জানিয়ে চার মাসের বেশি সময় দেওয়া হয়েছে। আরবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, ছোট অঙ্কের নোট বাতিল করা হয় না। তবে নতুন ডিজাইনে নয়া সিরিজের নোট ছাড়া হয় বাজারে।

মামলাকারী আইনজীবী উপাধ্যায়ের বক্তব্য, বিপুল অঙ্কের দু’ হাজার টাকার নোট অনেকেই ব্যাঙ্কের লকারে জমা রেখেছেন। এছাড়া, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি, জঙ্গি সংগঠন, মাদক পাচারকারীররা দু’ হাজার টাকার নোট সংগ্রহ করেছিল জমানোর সুবিধার্থে। সেই নোট এখন নানা হাত দিয়ে বদলে নেওয়া হবে। এভাবেই কোট কোটি কালো টাকা রাতারাতি সাদা হয়ে যাবে।

দু পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মমনিয়ম প্রসাদের বেঞ্চ মঙ্গলবার রায় দেয়নি। বেঞ্চ বলেছে সব দিক বিবেচনা করে আদালত দ্রুত রায় দেবে।  

Related Posts

Leave a Reply