May 11, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

গোটা লালু পরিবারের পরবর্তী ঠিকানা জেল 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

সিবিআইয়ের নতুন চার্জশিটে প্রমাদ গোনার সময় শুরু গোটা লালু পরিবারের। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে রেলের চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। চার্জশিটে নাম আছে তাঁর স্ত্রী আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়িদেবী এবং ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর । বাদ পড়েছে শুধু বড় ছেলে তেজপ্রতাপের নাম।

এখনও তদন্ত চলছে বড় মেয়ে মিসা ভারতী সহ বিবাহিত চার কন্যার। সকলেরই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলে সিবিআই চাইলে যে কোনওদিন তাঁদের গ্রেফতার করতে পারে।

সোমবার জমা করা চার্জশিটের ভিত্তিতে শুনানির পর লালুপ্রসাদ এবং পরিবারের বাকিদের জেলে যেতে হবে কিনা তা নিয়েই এখন জল্পনা শুরু হয়েছে। লালুপ্রসাদের পার্টি রাষ্ট্রীয় জনতা দল সিবিআইয়ের চার্জশিটে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলছে। শরিক জনতা দল ইউনাইটেডকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা।

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় লালুপ্রসাদ এখন জামিনে মুক্ত। তিনি সুস্থ হয়ে ওঠায় ওই মামলাতেও তাঁকে ফের জেলে পাঠানোর তোড়জোর শুরু করেছে সিবিআই। লোকসভা ভোটের আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পুরতে চাইছে মোদি সরকার, অভিযোগ বিরোধীদের।

২০০৪-থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালে লালুপ্রসাদ বিহারের বহু বেকার ছেলেমেয়েকে রেলে চাকরি দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বিনিময়ে তাদের জমি-জায়গা অল্প দামে রাবড়ি দেবী, মিসা, তেজস্বী এবং লালুপ্রসাদের ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজনের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় চাকরি প্রাপকেরা। জমির বাজার মূল্যের তুলনায় নামমাত্র দামে জমি হাতিয়ে লালুপ্রসাদের পরিবার বিপুল টাকা উপার্জন করেছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।

এই অভিযোগে বছর পাঁচেক আগে দায়ের হওয়া মামলায় তথ্যপ্রমাণের অভাবে লালুপ্রসাদকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিল সিবিআই। গত বছর সেই মামলা নতুন করে শুরু করেছে তারা।

Related Posts

Leave a Reply