April 26, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

এই ৮ বদভ্যাস মানেই সর্বনাশ

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

রুণদের অনেকেই এখন নানা বদভ্যাসের কারণে মানসিক চাপ ও অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন। এতে তাদের কর্মক্ষমতা যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমন ভুগছেন নানা সমস্যাতেও। এ লেখায় রয়েছে তেমন আটটি বদভ্যাসের কথা।
১. ঘুমের বদভ্যাস : তরুণরা যে সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন তার মধ্যে রয়েছে ঘুমের সমস্যা। এক্ষেত্রে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ রাত জেগে থাকায় দিনের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়া নিয়মিত না ঘুমানোয় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়াসহ আরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। ঘুমের এ সমস্যার অন্যতম কারণ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের বদলে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপে সময় কাটানো। এতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস চলে যায় এবং ঘুমের নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুমানোর ঘণ্টাখানেক আগেই সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
২. পুষ্টিকর খাবার বাদ দেওয়া: স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি দেহের বিপাক ক্রিয়া ও ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু তরুণেরা প্রায়ই নানা কারণে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার এ কাজটি করে না। এতে দেহে পুষ্টির অভাব, পানিশূন্যতা, উদ্বেগ ও মানসিক অস্থিরতা, অবসন্নতা, সিদ্ধান্তহীনতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর পানীয় ও খাবার খাওয়া উচিত।
৩. অতিরিক্ত চা-কফি  :  চা কিংবা কফি অতিরিক্ত পান করা হলে অনেকেরই সাময়ীকভাবে সচেতনতা বাড়ে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এতে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বীগ্ন ও নার্ভাস হয়ে পড়েন। এতে সামাজিক সমস্যাও সৃষ্টি হয়। এ কারণে দিনে এক মগের বেশি চা বা কফি পান করা উচিত নয়।
৪. বসে থাকা: দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যদিও তরুণদের প্রায়ই শারীরিক পরিশ্রমে অনাগ্রহী এবং দীর্ঘক্ষণ শুয়ে বা বসে থাকতে দেখা যায়। এতে শরীরের কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং স্থূলতা ও হৃদরোগসহ নানা শারীরিক ও মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন কোনোভাবেই যেন দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে থাকতে না হয়। তার পরেও বেশিক্ষণ বসে থাকতে হলে প্রতি আধ ঘণ্টা পর পর কয়েক মিনিট হেঁটে নিতে হবে। এছাড়া নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে এ ক্ষতি কাটানো সম্ভব।
৫. মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার: তরুণদের মোবাইল ফোনে সময় নষ্ট করার প্রবণতা অত্যন্ত বেশি। অনেকেই স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচরণসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। এতে বিষণ্ণতা ও মানসিক অস্থিরতায় ভোগে তারা। এ সমস্যা কাটাতে স্মার্টফোন পকেটেই রাখুন। সময়ে অসময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার বাদ দিন।
৬. সময়ের কাজ সময়ে না করা : অনেক তরুণেরই ধারণা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করার তুলনায় কাজটি সম্পন্ন করাই বড় বিষয়। এ কারণে কাজের সময় কাজ না করে তা অন্য সময়ে করতে আগ্রহী হন তারা। এতে নির্দিষ্ট সময়ে যেমন কাজটি করা সম্ভব হয় না তেমন ব্যক্তিগত কাজেও সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে সামাজিকতায়ও ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে কাজের সময় কাজ করার অভ্যাগ গড়ে তোলাই হতে পারে সমাধান।
৭. টিভি দেখা : অনেকেরই ধারণা টিভি দেখা বিশ্রামের একটি অংশ। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিভি দেখলে তা আপনার মানসিক চাপ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। টিভি মানুষকে উদ্বিগ্ন ও বিষণ্ণ করে তোলে। তাই একটানা টিভি দেখার পরিবর্তে ব্যায়াম, হাঁটাচলা, বাড়ির কাজ কিংবা শরীর সচল রাখে এমন যে কোনো কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
৮. উদ্বিগ্ন মানুষের সঙ্গ :  সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে এমন মানুষের সঙ্গ আপনাকেও উদ্বিগ্ন করে তুলবে। অনেক তরুণই ব্যাপারটা বুঝতে পারে না এবং উদ্বিগ্ন মানুষের সঙ্গে থেকে নিজেরাও উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। তাই কেমন মানুষের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দিন।

Related Posts

Leave a Reply