May 4, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular খেলা

আল জাজিরার স্টিং অপারেশনে জড়িয়ে গেলেন ভারতীয় ম্যাচ ফিক্সার! সঙ্গে ভারত 

[kodex_post_like_buttons]

নিউজ ডেস্কঃ

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কলঙ্কে আবারও নাম জড়িয়ে গেল ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল ভারতের। আরবের চ্যানেল আল জাজিরা প্রকাশিত স্টিং অপারেশনের ডকুমেন্টারিতে উঠে এসেছে এই অভিযোগ। সেই ডকুমেন্টারি অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ ফিক্সিং করা হয়েছিল। ফিক্সারদের থেকে টাকা নিয়ে তাদের কথামতো পিচ বানানো হয়েছিল। যা প্রকাশ্যে আসতেই নিজেদের মতো করে তদন্ত শুরু করেছে আইসিসি।

গলে ২০১৬ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত  টেস্ট ম্যাচটিতে তিন দিনের মধ্যে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের দাপটে ধূলিসাৎ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। হেরেছিল ২২৯ রানে। ইচ্ছে করে ওই ম্যাচের পিচ স্পিন সহায়ক বানানো হয়েছিল বলে ডকুমেন্টারিতে স্বীকার করেছেন গ্রাউন্ডসম্যান এবং কিউরেটর থারাঙ্গা ইন্দিকা। এরপর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ভারতের ম্যাচও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যাটিং সহায়ক পিচ বানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আগামী নভেম্বরে ওই একই স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলবে শ্রীলঙ্কা। ওই ম্যাচের পিচ নিয়েও নাকি একই রকম রহস্য রয়েছে!

সম্প্রতি ‘ক্রিকেট‌স ম্যাচ ফিক্সার্স’‌ নামে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে আল জাজিরা। যা প্রচারিত হয়েছে রবিবার সকালে। তারই প্রমোতে এই দৃশ্য দেখে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব অবাক। রবিন মরিস নামে মুম্বাইয়ের এক ম্যাচ ফিক্সার পুরো ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। তিনিই ইন্দিকাকে বুঝিয়ে বুকিদের মনের মতো পিচ বানিয়েছিলেন। এর জন্য ইন্দিকাকে ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ লক্ষ টাকাও দেওয়া হয়েছিল। একটি হোটেলের ঘরে মরিসের সঙ্গে কথা বলার সময় ইন্দিকাকে বলতে শোনা গেছে, ‘স্পিন বোলিং, পেস বোলিং বা ব্যাটিং, যেরকম পিচ চাইবেন আমরা বানিয়ে দেব।’‌ অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, ‘পাঁচ দিনের ম্যাচ ছিল। আমরা রোলার চালিয়ে খুব খারাপ উইকেট বানিয়েছিলাম। ফলে উইকেটে স্পিন করতে শুরু করে।’‌

যেহেতু ম্যাচ পাঁচ দিন গড়ানোর কোনো সুযোগ ছিল না, তাই ড্র হওয়ারও কোনো সম্ভাবনা থাকার কথা নয়। সেই ম্যাচ আড়াই দিনে শেষ হয়ে যায়। উল্লেখ্য, সে সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন আইসিসির প্রতিনিধি। কিন্তু প্রশ্ন ওঠা সত্ত্বেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। ২০১৭ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাটিং উইকেট বানানো হয়েছিল কারণ, সে সময়ের ভারতীয় দলে দারুণ সব ব্যাটসম্যান ছিলেন। ভারত কত রান তুলতে পারবে, তার ওপরেই বাজি লাগানো হয়েছিল। ইন্দিকা বলেছেন, ‘আমরা উইকেটে প্রচুর রোলার চালাই। তার পর জল দিয়ে আবার রোলার চালাই। ফলে উইকেট খুব শক্ত হয়ে গিয়েছিল।’

ভারত সেই ম্যাচে ৬০০ ওপর রান তোলে এবং ম্যাচ ফিক্সারদের তাতে প্রচুর লাভ হয়। ইন্দিকার সামনে নিজেকে আন্ডারকভার রিপোর্টার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন মরিস। তিনি বুকিদের থেকে ৩০ শতাংশ পাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইন্দিকা। জানিয়েছেন, আল জাজিরার সাংবাদিকদের তিনি বিদেশি পর্যটক ভেবে কথাগুলো বলেছিলেন। আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ঘটনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত তথ্যের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।

 

Related Posts

Leave a Reply