May 8, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ঘাম! এই গরমেও কাছে ঘেঁষবে না, জেনে নিন কিভাবে  

[kodex_post_like_buttons]

 

সাধারণত এই গরম আবহাওয়ায় এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল যার ঘাম হয় না। অস্বস্তিকর, প্যাচপ্যাচে, অসহ্য। গরম ছাড়াও ব্যায়াম, ভয় বা রাগের কারণে শরীর ঘামার প্রবণতা বেড়ে যায়।। তবে হাইপারহাইড্রোসিসের সমস্যার কারণে মানুষের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ঘাম হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি এই ঘাম সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা যায় সহজে। জানতে চান নাকি কি সেই উপায় ?
লাল চা : অতিরিক্ত ঘাম কমাতে লাল চা বেশ কার্যকারী। লাল চা’য়ে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড ঘাম প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া লাল চা ঘাম গ্রন্থি সংকোচন করে অতিরিক্ত ঘামানোর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।তিন থেকে চার কাপ গরম জলে একটি বা দুইটি টি-ব্যাগ ভিজিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর ওই জলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে বগল ও গলায় লাগাতে হবে। তাছাড়া হাত ও পায়ের ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে একই পদ্ধতিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাত ও পা চা মিশ্রিত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
লেবু : লেবু প্রাকৃতিক ডিওডরেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে সেটা দিয়ে তোয়ালে ভিজিয়ে সারা শরীর ভালোভাবে স্পঞ্জ করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা জল  দিয়ে স্নান করে ফেলতে হবে। এভাবে প্রতিদিনই গোসলের আগে গায়ে লেবুর রস মিশ্রিত জল স্পঞ্জ করে নিতে হবে।
বেকিং সোডা : বেকিং সোডা শরীরকে অতিরিক্ত ঘামের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পরিমাণমতো জলের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর এই পেস্টের সঙ্গে পছন্দমতো তিন থেকে চার ফোঁটা সুগন্ধী তেল মিশিয়ে নিয়ে বগলে এবং যে সব জায়গা বেশি ঘামে সেসব জায়গায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যাবে।
টমেটোর রস: টমেটোতে আছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট যা ঘাম গ্রন্থিকে সংকুচিত করে। তাছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে অতিরিক্ত ঘামানোর প্রবণতা কমিয়ে আনে।
এক সপ্তাহ টানা প্রতিদিন এক কাপ করে তাজা টমেটোর রস খেতে হবে। পরের সপ্তাহ থেকে এক দিন পরপর এককাপ করে টমেটোর রস পান করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
তাছাড়া বেশি ঘাম হয় এমন স্থানগুলোতে টমেটোর রস লাগিয়ে ১০ বা ১৫ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করে নিলেই ঘাম কম হবে। ঘাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবে গোসল করলে উপকার পাওয়া যাবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার : ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার বেশ কার্যকরী। প্রথমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া স্থানগুলো ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর তুলার বলে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার নিয়ে ওই স্থানগুলোতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পাউডার বা ডিউডরেন্ট লাগাতে হবে।
এছাড়া চাইলে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার অভ্যাস করলেও অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এক গ্লাস জলে ২ টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ও ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

Related Posts

Leave a Reply