May 6, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

চুল, নাক, কপাল, মুখ, কান দিয়ে লেখেন তিনি

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
পেশায় তিনি একজন স্কুলশিক্ষক। অথচ তার প্রতিভা দেখলে চক্ষু চড়ক গাছ হতে বাধ্য। শুধু চোখ দিয়েই নয়, এমনকি চুল, নাক, কপাল, মুখ, কান দিয়ে লিখতেও পারদর্শী তিনি!

পশ্চিমবঙ্গেরউত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটের বাসিন্দা তপন দে। বসিরহাট নৈহাটি এনসিএম শিক্ষানিকেতনের শিক্ষক তপন দের কাহানি রূপকথাকেও যেন হার মানায়। চুল, নাক, কপাল, মুখ, কান, চোখ দিয়ে লিখতে পারদর্শী তিনি। এ ছাড়া দুই হাত ও দুই পা দিয়ে একইসময়ে এবং একইসঙ্গে দুটি আলাদা ভাষাতেও লিখতে পারেন। শুধুমাত্র বাংলা, ইংরেজি নয়; হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষাতেও সাবলীলভাবে লিখতে অভ্যস্ত তিনি।

শুরুটা করেছিলেন ১৯৯৫ সালে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে কিশোর তপন নতুন কিছু করার তাগিদ থেকে বাম হাতে লেখা শুরু করেন। কিশোর তপন বাম হাতে লেখার অভ্যাস রপ্ত করে ফেলার পর আবেগে, আনন্দে সে কথা গর্বের সঙ্গে জানাতে গিয়েছিলেন বন্ধুদের। বন্ধুরা শুনেই তপনকে নিয়ে ঠাট্টা শুরু করে। উপহাসের সুরে তপনকে সেদিন তারা বলেছিল, ‘এ আর এমন কী ব্যাপার। বাম হাতে লেখার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। তুই কি পায়ে লিখতে পারিস?’ তখন থেকেই জেদ চেপে যায় তপনের মনে।

ইচ্ছে থাকলে যে অসাধ্য সাধন করা যায়, তা হাতে কলমে করে দেখিয়েছেন তপন। শুধু দুই হাত-পা নয়, চুল, নাক, কপাল, মুখ, কান, চোখ দিয়েও লিখতে পারেন তিনি। জানেন একাধিক ভাষাও। প্রতিবেশী থেকে সহকর্মী, আত্মীয় পরিজন থেকে স্কুলের ছাত্ররা তপন স্যারকে এ যুগের সব্যসাচী বলে ডাকেন।

‘গিনেস বুকে’ স্থান পাওয়ার জন্য লন্ডনের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় আবেদন করেছেন। সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে এই অভিনব অনুশীলন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালে ভারতের ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডে’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন তপন। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপ্লেস বিলিভ ইট ওর নট-এ জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়ান ট্যালেন্ট শো’তেও তিনি সাফল্যের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন।

Related Posts

Leave a Reply