মাত্র ১৫ সেকেন্ডে ছিন্ন ভিন্ন ৬১ টি প্রাণ, আহত ৭২! 

কলকাতা টাইমসঃ

অমৃতসরে দশেরার অনুষ্ঠানে রাবণের কুশপুত্তলিকা দাহ প্রত্যক্ষ করতে প্রায় ৩০০ মানুষ জড়ো হয়েছিলো। মাত্র ১০-১৫ সেকেন্ডের মধ্যে উৎসবস্থল পরিণত হয় ছিন্ন-ভিন্ন লাশের স্তুপে। স্বজন-সন্তান হারানোর হাহাকারে কেঁপে উঠে আশাপাশ। সবাই তখন হন্য হয়ে প্রিয়জনকে খুঁজছিলেন। অন্ধকারে এসেছিলো ঘাতক ট্রেনটি, যার নিচে পড়ে কমপক্ষে ৬১ জন প্রাণ হারায়, আহত হন ৭২ জন।

অমৃতসর শহরের জোড়া ফটকের কাছে দশেরা উৎসবে রাবণের কুশপুত্তলিকা জ্বালানোর সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ দশেরা উৎসব দেখছিলেন, সেই সময়ই ট্রেন সেখানে এসে পড়ে। কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর শব্দে ট্রেনের আওয়াজ কেউ শুনতে পাননি। আয়োজক কর্তৃপক্ষও কোনো সতর্কতা জারি করেনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী পাদাম সিং ধিংরা বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ১৫তে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অমৃতসরের সাংসদ নভোজোত সিং সিধুর স্ত্রী আসতে দেরি করায় অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্যসময় রাবণের কুশপুত্তলিকায় আগেই আগুন দেওয়া হয়। প্রধান অতিথির দেরির জন্যই এবার দেরি হয়ে গিয়েছিল।

জানা যাচ্ছে, কুশপুত্তলিকায় আগুন দেওয়ার সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, দর্শকরা যেন পেছন দিকে সরে যান। সেই কথা মতো মানুষ পেছনের একটা রেললাইনের ওপরে চলে গিয়েছিল, তখনই সেখান দিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চলে যায়। ট্রেনের ধাক্কায় বহু মানুষ এদিক ওদিক ছিটকে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, বহু মানুষ রেললাইনের ওপরেই ভিড় করে দাঁড়িয়েছিল প্রতি বছরের মতোই রাবন দহন দেখতে, হঠাৎ করেই জোরে ট্রেনটা এসে দর্শকদের ওপর দিয়ে চলে গেল। কোনো হর্ন বাজায়নি, ট্রেনের গতিও কমায়নি একটুও। এত জোরে ট্রেনটা চলে এলো, মানুষ সরে যাওয়ার সময়ই পায়নি।