May 7, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

শত বর্ষ পুরানো এই ছবিতে ইনি হতেই পারেন না, তবুও আছেন !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

কানাডায় ছবিটি তোলা হয়েছিল প্রায় ১শ’ বছর আগে। একদল নারী, পুরুষ ও শিশু পাহাড়ের পাদদেশে বসে ছবিটি তুলেছিল। স্মার্টফোনের আজকের যুগে সহজেই দৃশ্য ধারণ সম্ভব হলেও শত বছর আগে এমনটি ছিল না। সেকালে ছবি তোলা মানে বিশাল ব্যাপার, বিশাল তার আয়োজন।

সেই আমলে সম্ভবত কোনো এলাকার মানুষ একত্র হয়ে ছবিটি তুলেছিল। কিন্তু সেই ছবিতেই দীর্ঘদিন যাবৎ একটি রহস্য অজানাই থেকে গিয়েছিল। সম্প্রতি যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

শতবর্ষ পুরনো সেই হারিয়ে যাওয়া ছবিটি প্রথম উদ্ধার করেছিলেন লেস্টার রে পিটারসন। কানাডার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইতিহাস নিয়ে ১৯৭৪ সালে তার প্রকাশিত ‘The Great Cape Scott Story’ গ্রন্থে ছবিটি স্থান পায়।

সম্প্রতি জিমি গ্রান্ট নামের এক পশ্চিমা নাগরিক বইটি পড়ার সময় ছবিটি তার নজর কাড়ে। বিস্ময়ের সঙ্গে তিনি লক্ষ্য করেন, ছবিতে থাকা অনেক মানুষের মধ্যে একজনকে সহজেই আলাদা করা যায়।

ছবিটি ইউটিউবে প্রকাশ করে জিমি গ্রান্ট জানান, বলতে পারেন ছবির মানুষদের মধ্যে কাকে সময়ের সঙ্গে ঠিক খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না? এরপর জিমি দেখান, অনেক মানুষের মধ্যে এক ব্যক্তি বসে আছেন যার পোশাক এবং চুলের স্টাইল স্পষ্টই বেমানান।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, সেই আমলে অর্থাৎ শত বছর আগে কানাডার প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের চেহারা, পোশাক, চুলের ছাঁট ছিল অন্যরকম। বর্তমানের সঙ্গে যা কখনই মিলবে না। কিন্তু ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি আধুনিক যুগের পোশাক আর হাল ফ্যাশনের চুলের ছাঁট নিয়ে বহাল তবিয়তে বসে আছেন।তবে ছবির রহস্য অন্যখানে। ছবিতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে সেখানে সে বসতে চাচ্ছিল না। অর্থাৎ ছবিটি ভালো করে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় যে ছবি তোলার মুহূর্তে সে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে চাইছিল।

জিমি’র আরও যুক্তি হচ্ছে, প্রখর রোদে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের মাথায় টুপি থাকলেও সেই রহস্যময় ব্যক্তির তা নেই। তাছাড়া তার শরীরের গোল গলার গেঞ্জি, থ্রি কোয়ার্টার শর্টস কখনই সে সময়ের মানুষ পরতো না। কেননা ওই আমলে সেই ফ্যাশনই তো আসেনি। তাহলে কিভাবে সেই ব্যক্তি এমন পোশাক পেল?

নিজের ধারণা সম্পর্কে জিমি বলেন, হাল ফ্যাশনের পোশাক পরা ব্যক্তিটি সম্ভবত সময় ভ্রমণ করেছিলেন। বর্তমান কিংবা ভবিষ্যত থেকে তিনি চলে গিয়েছিলেন অতীতে। কিন্তু সময়ের ফ্রেমে ধরা পড়ে যান তিনি।

ছবিটি সম্পর্কে কেউ কেউ অবশ্য অবিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন। তাদের মতে, ছবিটি সম্ভবত ফটোশপে তৈরি করা। কিন্তু এমন প্রমাণ এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। তাছাড়া ১৯৭১ সালে প্রকাশিত গ্রন্থে ছবিটি স্থান পায়। সেসময় এতো নিখুঁত ভাবে কোনো ছবি বানানো যেত না।

ফলে ওই দাবি ধোপে টেকেনি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেই ছবির মানুষটি কি সত্যি সময় ভ্রমণ করেছিলেন, নাকি খেয়ালী মানুষ ছিলেন?

Related Posts

Leave a Reply