May 5, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম সফর

অমরকন্টক স্মৃতি (তৃতীয় পর্ব )

[kodex_post_like_buttons]

বিপ্লব মজুমদার

কবীর চবুতরা থেকে হাটতে শুরুু করলাম তখন সকাল 11 টা l পথে একটি চায়ের দোকানে নাস্তা করলাম চাপাটি ও এক গ্লাস গরম গরুর দুধের চা দিয়ে l হেঁটে চলেছি মেকাল পাহাড়ের রাস্তায় l যে দিকে তাকাই কেউ কোথাও নেই l শুধু আমি মেকাল ও তাঁর বুক চিরে ওঠা বনানি আর ঝিঝি পোকার নিরন্তর ঝিঝি ডাক l মনে হচ্ছে তাঁরা নিরন্তর ওমকাার নাদ করছে l আকাশ বাতাস ভূূমি বিশ্ব চরাচর যেন মাতৃ সাধনায় ব্যস্ত l মনে হচ্ছে যেন আমি ,এক পথভোলা কামুক পথিক , নিজের অজান্তেই এই সমগ্র তপঃস্থলী তে অযাযিত প্রবেশ করেছি l

হাঁটছি আর ভাবছি জীবনে কতই না পাপ করেছি l তবুও মা নর্মদা আমাকে তাঁর চরণে নিয়ে এসেছে l কেন জানি না l এই সব ভাবতে ভাবতে বোনচৌকি কে বাঁ হাতে রেখে গভীর জঙ্গলে র রাস্তা ধরলাম l যতই এগোচ্ছি জঙ্গল ততই গভীর ও গম্ভীর হচ্ছে l এবার একটু ভয় করছে l মা রেবার নাম করতে করতে এগিয়ে চলেছি l সমস্ত পরিবেশ এতোই স্নিগ্ধ শান্ত যে হঠাৎ ই মন থেকে ভয় চলে গিয়ে এক অপার্থিব আনন্দে হৃদয় মন আত্মা এক শুরে বাজতে শুরু করলো l স্থান কাল পাত্র নিয়ে কোনো অনুভূতি নেই l মনে হচ্ছিল আমার এই স্বত্বার সাথে সমগ্র মেকাল এক l

ধন্য এই তপোভূমি l ধন্য হে মহামুনি মার্কেন্ডেয় ….তুমি না থাকলে কে জানতো এই পবিত্র তপোভূমি র কথা l তোমায় শতকোটি প্রণাম l জ্ঞান ফিরে দেখলাম আমি রুদ্রগঙ্গায় l এখানে ঋষি ফক্করবাবার আশ্রম l বর্ণনা দিয়ে বোঝানো যাবে না এখানকার পরিবেশ l বাবার সমাধির পিছনে এক কুঁয়া যেখান থেকে অনবরত জল উঠছে l এটাই রুদ্রগঙ্গা l জল চোখে মুখে ছেটাতে সব ক্লান্তি নিমেষেই চলে গেলো l আশ্রমে বসে ভোলারাম (গাঁজা) ও চা সেবন করে আত্মভোলা হয়ে এগিয়ে চললাম অমরকণ্টক এর দিকে l পরবর্তী গন্ত্যব্য জালেশ্বর মহাদেব l

Related Posts

Leave a Reply