জন্মান্ধ কিন্তু শব্দ শুনে পাখির নাম বলে দেন জুয়ান
কুলাসো বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমি পাখির শব্দ শুনে পাখিদের নাম মনে রাখার চেষ্টা করতাম। ২০০৩ সালে আমি এক পাখিবিজ্ঞানীর কাছে যাই। এরপর ওই পাখিবিজ্ঞানীর পাখির প্রতি ভালোবাসার কথা শুনে অনুপ্রাণিত হই। তিনি আমাকে একটি রেকর্ডার দিয়েছিলেন।’
এই বিশেষ ক্ষমতার জুয়ান সম্প্রতি সাউন্ডট্র্যাক ডকুমেন্টারিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এক দশকের বেশি সময় তিনি ব্রাজিলে কাটিয়েছেন। সেখানে তিনি বায়োএকুইস্টিক ও প্রাকৃতিক শব্দ নিয়ে কাজ করেছেন।
পাখি চিনতে পারার এই অসাধারণ ক্ষমতার কারণে ২০১৪ সালে নেট জিও টেলিভিশন প্রোগ্রামের সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পান জুয়ান। এর অধিকাংশ অর্থ পরবর্তী সময় তিনি অডিও রেকর্ডার কেনার কাজে ব্যয় করেন। ওই প্রোগ্রামে তাঁকে ২৫০টি পাখির মধ্যে ১৫টি পাখি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। তিনি অবলীলায় বলেছিলেন সব কটির নাম।
উরুগুয়ে রিপাবলিক ইউনিভার্সিটির ফোনোলোজি বিভাগের প্রধান অ্যালিসিয়া মুনইয়ো বলেছেন, পাখি চিহ্নিত করার এই বিশেষ ক্ষমতার ক্ষেত্রে শ্রবণশক্তির চেয়েও মস্তিষ্ক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।