May 7, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular বিনোদন

পিপীলিকার পাখা গজায় ডলারের তরে!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
নেকে কথায় কথায় বলেন- পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে! কথাটাকে হলিউডে নিয়ে গেলে হয়ে যাবে পিপীলিকার পাখা গজায় ডলারের তরে! বিশ্বাস হচ্ছে না? হলিউড টপচার্টের দিকে তাকালে সেই চিত্র পেয়ে যাবেন। একদা উত্তর আমেরিকার বক্স অফিস শাসন করা পিঁপড়া-মানব তাই প্রমান করে ! অর্থাৎ ‘অ্যান্ট-ম্যান’। যুক্তরাজ্যের বক্স অফিসেও টাকার টাওয়ার বানিয়ে ফেলেছিল ছবিটি!
মার্ভেল কমিকসের পুঁচকে সুপারহিরো অ্যান্ট-ম্যানকে নিয়ে নির্মিত প্রথম ছবিটি মুক্তি পাওয়ার মাত্র এক সপ্তাহে এর আয় দাঁড়ায় ৫ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। অন্যান্য দেশ থেকে এর আয় হয়েছে আরও ৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ব্রিটেন থেকে এসেছে ৪০ লাখ পাউন্ড। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৩ কোটি ডলার। তাহলেই ভাবুন লাভের পরিমান।  

গল্পে পিঁপড়া-মানব তার পোশাকের আড়ালে হলেন স্কট ল্যাঙ। তার পরামর্শদাতা ড. হ্যাঙ্ক পাইম। একসময় পৃথিবীকে বাঁচাতে নিজের পথপ্রদর্শকের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি হয় তার সামনে। নিজের ভেতরের নায়ককে তখন বাইরে নিয়ে আসে স্কট। হয়ে ওঠে পিঁপড়া-মানব। গল্পের মূল বিষয়বস্তু- মশাল ছড়িয়ে দাও।

‘অ্যান্ট-ম্যান’-এর প্রথম দৃশ্যের সময় ১৯৮৯ সাল। ওই বছর হলিউডে মুক্তি পায় ‘হানি, আই শ্রাঙ্ক দ্য কিডস’। ‘অ্যান্ট-ম্যান’ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয় তারও ৯ বছর আগে। কমিকসটির স্রষ্টা স্ট্যান লি নিউ লাইন এন্টারমেন্টের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। কিন্তু দুটি ছবির গোড়ার দিকে সাদৃশ্য থাকায় দুই দশক ঝুলে থাকে ‘অ্যান্ট-ম্যান’। ২০০৩ সালে মার্ভেলকে ছবিটি নির্মাণের প্রস্তাব দেন পরিচালক এডগার রাইট। তিনি পিঁপড়া-মানবের অন্ধভক্ত। কিন্তু মার্ভেল স্টুডিও পাঁচ বছরের জন্য কিনে নেওয়া ডিজনির সঙ্গে তার মতের অমিল দেখা দেয়। তবে চিত্রনাট্যের বেশিরভাগটা তারই লেখা।এডগার বাদ পড়ার পর অ্যাডাম ম্যাকে, রুবেন ফ্লেইশার, রাউসন মার্শাল থারবার, নিকোলাস স্টলার, মাইকেল ডাউস ও ডেভিড ওয়াইনের কথা ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত পরিচালনার দায়িত্ব পান পিটন রিড। এর আগে ‘ব্রিং ইট অন’ (২০০০), ‘ডাউন উইথ লাভ’ (২০০৩), ‘দ্য ব্রেক-আপ’ (২০০৬) আর ‘ইয়েস ম্যান’ (২০০৮) ছবিগুলোর পরিচালক ছিলেন তিনি।
‘অ্যান্ট-ম্যান’ ছবিতে নাম ভূমিকায় আছেন পল রাড। পিঁপড়া নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করেছেন তিনি। পিপীলিকারা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করে তা দেখতে বিশাল এক পিঁপড়ার খামারও কেনেন ৪৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা। ওই একতা তাকে এতোই অনুপ্রাণিত করেছে যে, ছবির কাজ শেষ হওয়ার পরও খামারটি রেখে দিয়েছেন পল। তার পেশীর কারণে পিঁপড়া-মানবের পোশাক পাল্টাতে হয়েছিলো। সুপারহিরো চরিত্রে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়ে পেশীর আকার বাড়ান তিনি। এবারই প্রথম মার্ভেল সুপারহিরোর ভূমিকায় দেখা গেলো তাকে। 
বাস্তবের চেয়ে একটু কম বিপজ্জনক ও বন্ধুভাবাপন্ন পিঁপড়া ডিজাইন করা হয়েছে এ ছবিতে। তাদের পা তুলনামূলকভাবে বেশি লম্বা। সামনের পা-গুলো তারা ব্যবহার করে হাতিয়ার হিসেবে। ‘অ্যান্ট-ম্যান’ই নতুন গড়ে ওঠা পাইনউড আটলান্টা স্টুডিওতে শব্দসজ্জার কাজ করা প্রথম ছবি। এর ব্যাপ্তি এক ঘণ্টা ৫৭ মিনিট। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ছবি হিসেবে এটাই সবচেয়ে ছোট দৈর্ঘ্য। সময় কম হলেও আয়ের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই এর দ্বিতীয় কিস্তি তৈরি হবে এটা নিশ্চিত। তার আগে আগামী বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা : সিভিল ওয়ার’ ছবিতে দেখা মিলবে পিঁপড়া-মানবের। 

Related Posts

Leave a Reply