May 8, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

অতৃপ্ত তাই আত্মা আরো ৭০ এই কামলোকেই 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

চ্ছা বলুন তো কখনো কি মনে প্রশ্ন জাগে না যে আত্মহত্যার বিষয়ে কী বলছে ভারতীয় শাস্ত্র? আত্মহত্যার পর ঠিক কী হয় আত্মার সঙ্গে? শরীর ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কি মুক্তি পেয়ে যায় সে? নাকি অসহায় ভাবে ঘুরতে থাকে এই পৃথিবীর আবর্তেই?

হিন্দু শাস্ত্রে এর বেশ কিছুটা উত্তর আছে বৈকি। শাস্ত্রমতে স্বাভাবিক মৃত্যু ও আত্মহত্যার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। তাই এই দুই ক্ষেত্রে আত্মার ভাগ্যও বদলে যায়। আত্মহত্যা যেহেতু অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটা চূড়ান্ত রূপ, নিজেই নিজেকে খুন করা, প্রকৃতির তৈরি স্বাভাবিক নিয়মকে লঙ্ঘন করা, তাই শাস্ত্রমতে আত্মহত্যাকে পাপকার্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাই মৃত্যুর পরেও কিছু শাস্তি পেতে হয় আত্মঘাতীর আত্মাকে। যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন, মৃত্যুর পরেও তার আত্মা পূর্ণ সচেতন থাকে।

চেষ্টা করেও এই কামলোক ছেড়ে বেরোতে পারে না। নিস্ফল ভাবে মৃতদেহের আশেপাশেই ঘুরে বেড়াতে থাকে। তার মৃতদেহের সঙ্গে কী হচ্ছে, কে কী বলছেন, কার কী প্রতিক্রিয়া সবই অবগত থাকে তার। শাস্ত্রমতে আত্মঘাতী ব্যক্তি আত্মা তার পূর্ব নির্ধারিত আয়ুর পুরো সময়টাই এই পৃথিবীর বুকে কাটাতে বাধ্য। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কোনও ব্যক্তির ৯০ বছর পর্যন্ত আয়ু থাকে, কিন্তু যদি তিনি ২০ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন, তাহলে তার আত্মা আরও ৭০ বছর এই কামলোকেই বাঁধা থাকবে।

মৃত্যুর পরেও মৃত্যু প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে না আত্মঘাতী আত্মার। পূর্ব নির্ধারিত আয়ু কামলোকে কাটিয়ে তবেই স্বর্গদ্বারে প্রবেশ করার অনুমতি মিলবে। আর এই সময়টা অসহনীয় কষ্ট পায় আত্মঘাতী আত্মা। যে জীবন থেকে, যে কষ্ট-হতাশা থেকে পালানোর জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল, সেই কষ্ট-যন্ত্রণার থেকে মুক্তি মেলে না। যে বৃত্তের মধ্যে তার জীবন বাধা ছিল, তার আশেপাশেই ঘুরে বেড়াতে থাকে সে।

কোনও কিছুর মধ্যে অংশ নিতে পারে না, কিন্তু সবকিছুর সাক্ষী থাকতে হয়। এই কষ্ট জীবদ্দশার কষ্টের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। চূড়ান্ত অনুশোচনার মধ্যে বাকি সময়টা কাটাতে হয় তাকে। এই ধরনের অতৃপ্ত আত্মারাই কোনও মাধ্যম পেলে সহজে দেখা দেয়। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু যাদের হয়, তাদের আত্মা মৃত্যুর পরই মুক্তি পেয়ে যায়।

Related Posts

Leave a Reply