April 29, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular সফর

পেতাত্মাদের সঙ্গে বসে সিনেমা দেখতে পারেন এই হলে !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

টনা? না কি ঘটনা? সত্যি করে বলা মুশকিল! আসলে, ভূতের অস্তিত্ব সম্পর্কে ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না, যতক্ষণ না হাতে-গরম প্রমাণ মিলছে! তবে এই প্রমাণ চাক্ষুষ না হলেও চলে!

জীবনের ইতি-উতি দৃষ্টিপাত করলেই যেমন অনুভব করা যায় সৃষ্টিকর্তার মাহাত্ম্য, তেমনই টের পাওয়া যায় পেতাত্মার অস্তিত্বও! সেই জন্যই তো বলে, যা রটে, তার কিছু নিশ্চয়ই ঘটে। যেমন, ভারতের পুণের ভিক্টরি থিয়েটারে ঘটে!

বাতাসে কথা ওড়ে, পুণের এই সিনেমা হল না কি ভুতুড়ে! তা বলে ভুতুড়ে সিনেমা হল বললে যদি একটা পোড়ো বাড়ির কথা ভেবে নেন, তবেই কিন্তু মুশকিল! ভিক্টরি থিয়েটার আদপেই পরিত্যক্ত হল-টল গোছের কিছু নয়। বেশ রমরমিয়েই ছবির প্রদর্শন চলে সেখানে। মর্নিং, নুন, ম্যাটিনি, ইভনিং, নাইট- একেবারে ঘড়ি ধরে শো!

এবং, সমস্যাটা হয় দিনের আলো পড়ে এলেই! এমনিতে সিনেমা হলের ভিতরে সব সময়েই অন্ধকার! কিন্তু, ভিক্টরি থিয়েটারের ভূত জ্বালাতন শুরু করে কেবল নাইট শো’র সময়েই!

শোনা যায়, ভিক্টরি থিয়েটারে যখন নাইট শো চলে, তখন মাঝে মাঝেই শোনা যায় হাসির আওয়াজ! ঠিক যেন কেউ হলের মধ্যেই বসে জোরে জোরে হাসছে। এক নারীকণ্ঠের হাসি! কিন্তু, হাজার খোঁজাখুঁজি করেও সেই হাসির উৎস বের করা যায়নি।

এছাড়া মাঝে-সাঝেই ভিক্টরি থিয়েটারের ওই অশরীরিণী দর্শকের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে নিজের উপস্থিতির জানান দেয়। ব্যস, এটুকুই! এর বেশি মশকরা আজ পর্যন্ত সে কারও সঙ্গে করেছে বলে শোনা যায় না। ক্ষতির তো প্রশ্নই ওঠে না। সেই জন্যই আজও সিনেমা হল-টা উঠে যায়নি!

তবে, ঠিক কী কারণে ভিক্টরি থিয়েটার ভুতুড়ে হয়ে উঠল, তা কেউ বলতে পারেন না। এও হতে পারে, সিনেমা হলের ব্যবসার স্বার্থেই হয়তো বলতে চান না!

কিন্তু, ভূত যে আছেই, সেটা কেউই অস্বীকার করেন না। আসলে, করার জো-ও নেই! দর্শকরা নিজেরাই তখন তার উপস্থিতি অনুভব করতে পারেন, তখন আর সেটা অস্বীকার করা যায় কী করে!

Related Posts

Leave a Reply