May 17, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

প্রতি সোমবার এই পাঁচ শব্দ বললে পাল্টে যাবে কপাল

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ঞ্চকশরা স্তোত্রের অন্দরে পাঁচটি শব্দ লুকিয়ে রয়েছে, তাই তো এই শ্লোকটিকে পঞ্চকশরা অর্থাৎ পাঁচ অক্ষর সমৃদ্ধ স্তোত্র নামে ডাকা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এই পাঁচটি শব্দ হল “না”, “ম”,”শি”, “বা”,”ইয়া”। আর্থাৎ “নম শিবায়”। এই পাঁচটি শব্দ যথাক্রমে মাটি, জল, আগুন, বায়ু এবং আকাশের প্রতীক। আর এই পাঁচটি উপদান দিয়েই তো মানুষের শরীর গঠিত হয়। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি সোমবার এই শ্লেকটি পাঠ করলে শিব ঠাকুর তো প্রসন্ন হনই, সেই সঙ্গে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। আসুন জানা যাক এই মন্ত্রপাঠের আর কি লাভ

মনের জোর বাড়ে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি যদি এক মনে জপ করা যায়, তাহলে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে ভয়ের পাহাড় পেরতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে দুঃখ, মানসিক অবসাদ এবংদুশ্চিন্তা কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু মনের জোরকে সঙ্গী করে যদি জীবনের প্রতিটি যুদ্ধে বিজয় পতাকা স্থাপন করতে হয়, তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!

 খারাপ শক্তির প্রভাব কমে: শাস্ত্র মতে শিব পঞ্চকশরা স্তোত্র পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়। বিশেষত কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই নয়, পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের বিবাদ বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও আর থাকে না। ফলে নিরাপদে এবং সুখে-শান্তিতে কেটে যায় বাকি জীবন।

গ্রহ দোষ কেটে যায়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন ১০৮ বার এই মন্ত্রটি পাঠ করলে জন্মকুষ্টিতে থাকা গ্রহ-লক্ষত্রের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে দুঃখ-কষ্টের সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

দেহের ক্ষমতা বাড়ে: শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র দেহের অন্দরের শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্লান্তি যেমন দূর হয়, তেমনি ছোট-বড় নানা রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু এই নীল গ্রহে যদি বহু বছর সুস্থভাবে কাটাতে হয়, তাহলে শিব পঞ্চকশরা মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!

অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে: বন্ধু নানা কারণে কি বেজায় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে আছেন? তাহলে আজ থেকেই প্রতি দিন ১০৮ বার এই স্তোত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবনে সুফল মিলতে সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা তো মিটবেই, সেই সঙ্গে দেবের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হতে শুরু করবে। ফলে নিমেষে পদন্নতি ঘটবে। সেই সঙ্গে সম্মানও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো।

প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটবে: আজকের দুনিয়ায় যেখানে বেশিরভাগই নিজেদের ভাল ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। সেখানে আমাদের ক্ষতি করতে চায়, এমন লোকের সংখ্যা যে নেহাতই কম নয়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তাই তো বলি বন্ধু, নিজেকে যদি প্রতিপক্ষদের মার থেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়, তাহলে দেবের শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না যেন। আসলে শ্রাস্ত্র মতে শিব পঞ্চকশরা স্তোত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে দেবের আশীর্বাদ লাভ হয়। ফলে প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কালো যাদুর প্রভাবও কেটে যায়। ফলে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।

জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত মেলে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রতি পাঠ করা শুরু করলে স্বর্গের দরজা খুলে যায়। শুধু তাই নয়, জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকেও মুক্তি মেলে। ফলে মোক্ষ লাভের পথ প্রশস্ত হয়।

কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ মেলে: ৩০ পেরতে না পেরতেই কি বাড়ি, গাড়ি এবং মোটা মাইনের চাকরি পেতে চান, তাহলে বন্ধু, সোমবার করে শিব পঞ্চকশরা স্তোত্র পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ লাভ হয়। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ তো হয়ই, সেই সঙ্গে কর্মজীবনে চরম সফলতার স্বাদ মিলতেও সময় লাগে না।

Related Posts

Leave a Reply