May 2, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ওষুধের সময় দেখেই খান, নচেৎ… 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ব ওষুধের গায়ে বা লেবেলে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া থাকে। এর মানে হলো, ওই সময় পর্যন্ত উক্ত ওষুধের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকলেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কিন্তু এর কার্যকারিতার অনেকটা অবশিষ্ট থাকে।

উপসর্গ প্রশমনের সাধারণ ওষুধ যেগুলো আছে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণের পরও কয়েক বছর ব্যবহার করা যেতে পারে। মেয়াদোত্তীর্ণের পর ওষুধের বিষক্রিয়ার কোনো জোরালো প্রমাণ পাওয়া না গেলেও সর্বোচ্চ কার্যকারিতা পেতে চাইলে মেয়াদোত্তীর্ণের আগেই তা সেবন করা উচিত।

এমন কিছু ওষুধ আছে যেগুলো সর্বোচ্চ কার্যকরী মাত্রায় ব্যবহার না করলে লাভের বদলে বরং ক্ষতি হয়। যেমন— অ্যান্টিবায়োটিক।

প্রয়োজনের চেয়ে কম মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে দেহের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে পুরোপুরি না মেরে দুর্বল করে দেয়। এগুলো দুর্বল ব্যাকটেরিয়া হলেও তা কিন্তু দেহে জীবিত থাকে। তখন সেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে টিকে থাকার পদ্ধতি তারা শিখে যায় এবং তার সমসাময়িক ও পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাকটেরিয়াদেরও এই কৌশল শেখায়। ফলে সেই অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে পরে আর কার্যকরী হয় না। আবার সেসব কৌশল শিখে যাওয়া ব্যাকটেরিয়া অন্য কারো শরীরে সংক্রমণ ঘটালে তার ক্ষেত্রেও সেই অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। তখন তৈরি হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, যা বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে একটি আলোচিত ইস্যু।

তাই সব ধরনের ওষুধ বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক, ইনসুলিন, নাইট্রোগ্লিসারিন (হৃদেরাগে আক্রান্তদের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ), উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের অতি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধসমূহের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আর সেবন না করাই উচিত।

Related Posts

Leave a Reply