May 3, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

বলুন তো ভালোবাসার দিন মানেই এই চিহ্নই কেন?

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ভ্যালেন্টাইন’স ডে দুয়ারে। এ দিন পালিত হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দিবসকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কিছু প্রথা এবং মিথ। মানুষ কেন এসব প্রথার চর্চা করে। কিউপিড কেন ভালোবাসার প্রতীক হলো চলুন জেনে নেই।
পৌরাণিক কাহিনিতে উল্লেখ আছে, যখন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারাগারে ছিলেন তিনি তার কারারক্ষীদের একজন কন্যার সঙ্গে প্রার্থনা করতেন এবং এ সময় মেয়েটির অন্ধত্ব সেরে ওঠে। তিনি প্রাণদণ্ডের পূর্বে তাকে একটি চিঠি লেখেন। যেখানে স্বাক্ষরের পর লেখা ছিল ‘তোমার ভ্যালেন্টাইন’। এটি রোমান্টিক ইঙ্গিত ছিল কিনা তা নিয়ে তর্কবিতর্ক থাকলেও ভালোবাসা বা মমতা প্রকাশের জন্য এখনো প্রিয়জনকে এ নামে ডাকা হয়।
ভালোবাসা বোঝাতে আমরা যে হার্ট অঙ্কন করি তা শরীরের হার্টের মতো জটিল নয়। শরীরের হার্টের মতো এখানে ভালভ ও পেশী নেই। আমরা যে হার্টের সঙ্গে অধিক পরিচিত তা আঁকা খুব সহজ। আপনি কি জানেন এ হার্টের  উৎপত্তি কোথা থেকে? একটি সম্ভাবনা হচ্ছে এটি বর্তমানে বিলুপ্ত উদ্ভিদ সিলফিয়ামকে নির্দেশ করে যা একসময় আফ্রিকার নগররাষ্ট্র সাইরিনে পাওয়া যেত। এ উদ্ভিদটি খাবারের রং, কাশির সিরাপ এবং বিশেষ করে কন্ট্রাসেপটিভ বা গর্ভনিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হত। এ উদ্ভিদের সিডপডের সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন হার্টের আকর্ষণীয় মিল রয়েছে যা যৌনতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অন্য ধারণা হচ্ছে, ভ্যালেন্টাইন হার্টের উৎপত্তি শারীরিক গঠন থেকে- কেউ কেউ ধারণা করছেন যে স্তন, নিতম্ব, যৌনাঙ্গ অথবা শরীরের হার্টের যথাযথ চিত্রাঙ্কন থেকে এ আকৃতির উৎপত্তি হয়েছে।
আর কিউপিডকে ‘কিউপিড’ নামে অভিহিত করার পূর্বে গ্রীকরা তাকে স্বর্গীয় চরিত্র এরস নামে ডাকত। তাকে কিছুটা যৌনতার প্রতীক বিবেচনা করা হয়। কারণ তিনি তার অস্বাভাবিক শুভ দৃষ্টি দিয়ে মানুষ ও দেবতাদের প্রেম বা কামের দিকে চরমভাবে প্ররোচিত করতেন। গ্রীক পুরাণ মতে, এরসের দুইটি স্বর্ণের তীর ছিল যা দিয়ে তিনি মানুষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা কিংবা ঘৃণা সৃষ্টি করতেন। রোমানরা তাদের পুরাণে তাকে প্রেমের দেবী ভেনাসের পুত্র কিউপিড নামে অন্তর্ভুক্ত করে। রেনেসাঁর সময় চিত্রকররা কিউপিডকে উলঙ্গ শিশু হিসেবে অঙ্কন করে। কিউপিডের এ চিত্রটিই ভালোবাসা দিবসের জনপ্রিয় চিত্র হয়ে ওঠে।

Related Posts

Leave a Reply