May 4, 2024     Select Language
KT Popular

নতুন বাদশাহ মারার জন্য সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস  :

দিনের পর দিন পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে উষ্ণ হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু তাপমাত্রা বেড়ে গেলেই কি আপনি মারা যাবেন?

উত্তর, হ্যাঁ। তবে সরাসরি তাপমাত্রা বাড়ার ফলে নয়। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে ভাইরাস, পোকামাকড়, সুনামি ও ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পাবে; এসব আপনার মারা যাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।

তাছাড়া পৃথিবীর নতুন বাদশাহ মানুষ মারার জন্য নিজেদের সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নতুন বাদশাহ হলো মশা।

পাখিরা যেমন শীতকালে উষ্ণ এলাকাগুলোতে চলে যায়। তেমনি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে জীবাণু বহনকারী মশারা রক্ত পানের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। এজন্য তারা মানুষকে কামড়ায়।

মশাদের আত্মঘাতী প্রাণীও বলা চলে। তারা জীবাণু বহন করে ছড়িয়ে দিতে পারে অন্য যে কোনো প্রাণীর চেয়ে বেশি হারে। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যায় মশাবাহিত রোগে।

৩০ বছর আগের চেয়ে বর্তমানে মশাবাহিত রোগের পরিমাণ ৩০ গুণ বেড়ে গেছে। বর্তমানে বছরে চারশ মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। এডিস মশার কারণে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু জিকা ভাইরাস ছড়াচ্ছে।

পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে মশা বেড়ে যাওয়ায় রোগের প্রকোপ বৈশ্বিকভাবে বেড়ে গেছে। গবেষকরা বলছেন, আর মাত্র ৩০ বছরে অর্থাৎ ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৪৯ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গু মশার নাগালের মধ্যে থাকবে।

গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে যে হারে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর অর্ধে ক জনসংখ্যা মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।

বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে মানুষের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু মশা আরো জীবাণু বহনে সক্ষম হচ্ছে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুন গুনিয়াসহ নানা রকম রোগ ছড়াবে মশারা। এমনকি উষ্ণতার সুযোগে মশাবাহিত রোগ দ্রুত ছড়াবে।

গবেষকরা বলছেন, সচরাচর ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ম্যালেরিয়া ছড়ায়। আর ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্যও উষ্ণতা দরকার। ২০৬০ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের তাপমাত্রা ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, আর মাত্র ৩০ বছরের মধ্যে ইউরোপে মশাবাহিত রোগ মহামারি আকার ধারণ করবে। ২০৮০ সালে পৃথিবীর একশ ৯৭টি দেশে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply