May 14, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

পাখিকে সামলাতে দিন বিষণ্নতা আর উদ্বেগে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বিষণ্নতা, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর মানসিক চাপ নিয়ে কি বাঁচা যায়? জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এসব সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে কত চিকিৎসাই না করেন ভুক্তভোগীরা। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, বিষণ্নতার মতো ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে একটা সঠিক পরিবেশই যথেষ্ট। যাদের বাড়ির আশপাশে অনেক গাছপালা, ঝোপঝাড় আর পাখির বাস আছে তাদের ওপর বিষণ্নতা ও উদ্বেগ সহসা ভর করতে পারে না।

শত শত মানুষের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। দেখা গেছে, যারা পাখি, উদ্ভিদ ও ঝোপঝাড় দেখতে পারেন তাদের জীবন অনেক বেশি আনন্দময়। তাই গ্রামের মানুষ অপেক্ষা শহরের মানুষই বেশি বিষণ্নতা ও উৎকণ্ঠায় ডুবে থাকেন।

গবেষকরা ভিন্ন জাতি, দল, বর্ণ ও শ্রেণির ২৭০ জন মানুষের মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেন। তাতে স্পষ্ট হয়, যে মানুষগুলো গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বেশি বেশি বাড়ির মধ্যে থেকেছেন, তাদের উদ্বেগ-শঙ্কা-দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে।

ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি আব এক্সিটারের গবেষকরা জানান, চারপাশের অতি পরিচিত পাখিদের আনাগোনায় মনটা ভালো থাকে। সেখানকার পরিবেশের ব্ল্যাকবার্ড, রবিন, ব্লু টিট বা কাকের ভিড়েও বিষণ্নতা স্থান করে নিতে পারে না।

তবে গবেষণায় পাখির প্রজাতি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে কোনো সম্পর্কের কথা তুলে ধরা হয়নি। কিন্তু বাড়িতে বসে জানায় আসা পাখিগুলোকে যারা দেখতে পারেন, তারা এত সহজে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন না। আসলে একেক মানুষের কাছে পাখি পছন্দ করার বিষয়টা একেক ধরনের হতে পারে। কিন্তু সবার কাছেই পাখি এমন কিছু নয় যা মন খারাপ করে দেয়।

গবেষক ড. ড্যানিয়েল কক্স জানান, আসলে এ গবেষণায় একটি বিষয় বোঝা গেছে। তা হলো, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের ভালো থাকার বিষয়টি জড়িত। এমনকি দুপুবেলা কতগুলো পাখি দেখতে পেলেন তার ওপর বিষণ্নতা, উদ্বেগ বা স্ট্রেসের মাত্রার বিষয়টিও নির্ভর করে।

তাই এমন স্থানে থাকার চেষ্টা করুন যেখানে গাছপালা বা পাখি রয়েছে। তাহলেই শান্তির জীবন পাবেন।

Related Posts

Leave a Reply