May 5, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

স্ত্রীর অভিশাপেই শনিদেবকে এত ভয়, কেন এই অভিশাপ জানেন ?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
মাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই শনি দেবকে ভয় পান, তবে এটি শুধুমাত্র হিন্দু পুরাণ সম্পর্কে তাদের অল্প জ্ঞান থাকার কারণে। যদিও এটি সত্য যে, শনিদেব কারুর দিকে তাকালে সেই ব্যক্তি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, তাহলেও স্বয়ং ঈশ্বর কখনোই একজন নিষ্ঠুর দেবতা হতে পারেন না।
তিনি কাউকে কেবলমাত্র তার ভুলের জন্য শাস্তি দেন এবং সহজে ক্ষমা করেন না। প্রকৃতপক্ষে, শনি দেব ভালোর জন্য ভালো এবং খারাপের জন্য খারাপ। তিনি খুব ধৈর্যশীল। ভক্তরা তাঁর আশীর্বাদ পেতে এবং নিজেদের অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে তাঁর ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন উপায়ে শনি দেবের উপাসনা করে থাকে। শনিদেব যখন তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন জীবন একটি সম্পূর্ণ আশীর্বাদে পরিণত হয়।
শনিদেবের পত্নী
শনিদেবকে সন্তুষ্ট করার অন্যতম উপায় হল তাঁর স্ত্রীদের উপাসনা করা। কথিত আছে যে, তাঁর আটজন স্ত্রী ছিলেন। তাই, শনিদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাঁর স্ত্রীদের নাম জপ করা উচিত। যদি শনিবার তাঁদের নাম স্তব করা যায়, তাহলে তা এটি অত্যন্ত উপকারি। বিশ্বাস করা হয় যে, শনিদেবের দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত আক্রোশপূর্ণ এবং এর কারণ তাঁর স্ত্রী ধামিনী-র একটি ঘটনার সাথে জড়িত। আসল গল্পটি জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
শনিদেব, শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন
শনি দেব সূর্যদেব ও তাঁর স্ত্রী ছায়াদেবীর পুত্র। তিনি ছিলেন কালো বর্ণের । শনিদেব শৈশবকাল থেকেই তিনি শ্রীকৃষ্ণের এক কট্টর ভক্ত ছিলেন। তিনি প্রায়ই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করতেন। বড় হওয়ার পরেও কৃষ্ণের প্রতি তাঁর ভালবাসা একই ছিল। চিত্ররথ-এর কন্যার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর স্ত্রী, ধামিনী ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন এক নারী ছিলেন। সুন্দরী এবং খুব বুদ্ধিমানও ছিলেন।
স্ত্রী ধামিনীর ইচ্ছা জননী হওয়ার
একবার নানান চিন্তাভাবনা করার সময়, হঠাৎই ধামিনীর মনে এক পুত্র সন্তানের জননী হওয়ার ইচ্ছা জাগে। অন্তরে এই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তিনি শনিদেবের কাছে যান। শনিদেব সেই সময় শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করছিলেন। ধামিনী শনিদেবকে ধ্যান থেকে জাগ্রত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ধামিনী শনিদেবকে অভিশাপ দিলেন
শনিদেবের আচরণে বিরক্ত হয়ে ধামিনী তাঁকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, ‘আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইবে না! এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সেই ভস্ম হয়ে যাবে!’ তারপর থেকে শনিদেবের দর্শন সবার জন্য সর্বদা নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসে। সম্ভবত এই কারণেই বলা হয় যে, শনিদেব মন্দ নয়, তবে কোনও ব্যক্তির প্রতি তাঁর দৃষ্টি খারাপ হতে পারে।
শনিদেবের স্ত্রীর দুঃখপ্রকাশ
পরে শনিদেবের স্ত্রী তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন এবং অভিশাপ দেওয়ার জন্য অনুশোচনাও করেছিলেন, তবে অভিশাপ ফিরিয়ে নেওয়ার মতো কোনও ক্ষমতা তাঁর হাতে ছিল না। তবে, শনিদেব তাঁর ভক্তদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তিনি কখনোই কারুর দিকে তাকাবেন না এবং মাথা নিচু করে রাখবেন।

Related Posts

Leave a Reply