May 3, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

যেভাবে হোক তালিবানদের থেকে সন্তানকে বাঁচাতে মরিয়া আফগান একাকী মায়েরা

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
ফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফ গত ১৪ আগস্ট তালেবানের দখলে চলে যায়। তারপর রায়হানার (নাম পরিবর্তিত) ছয় বছরের মেয়েকে নিতে এসেছিল তারা।

জানা গেছে, গত বছর তালেবানের হাতে নিহত হয়েছে রায়হানার স্বামী। তার পর থেকে মেয়েকে একাকী মা হিসেবে বড় করছেন রায়হানা।

স্বামী নিহত হওয়ার পর মেয়েকে একাকী মা হিসেবে লালন-পালন করার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে আইনিভাবে লড়তে হয়েছে রায়হানাকে।

আফগান নাগরিক আইনের অধীনে তার অধিকারের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন রায়হানা। কারণ, আফগান আইনে একাকী নারীরা তাদের সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে পারতেন, যদি তারা সন্তানের জন্য আর্থিক ব্যবস্থা করতে পারেন।

বর্তমানে রায়হানার শহর তালেবানের দখলে। আর নিজের মেয়েকে হারানোর শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এবার তার পাশে কেউই নেই।

রায়হানা সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেছেন, যেদিন মাজার-ই-শরিফ তালেবান দখলে নিল, আমার দেওর আমার বাবার বাড়ির পাশে তালেবানদের সঙ্গে শোডাউন দিয়েছে। আর আমি সেখানেই থাকি।

তবে ওই দিন ওই সময় রায়হানা আর তার মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। বিষয়টি জানতে পেরেই মেয়েকে নিয়ে তিনি অন্যত্র চলে যান।

রায়হানা বলেন, তারা আমার কাছ থেকে মেয়েকে কেড়ে নিতে চায়। আমরা একটি ট্রাকে ময়দার বস্তায় লুকিয়ে ছিলাম। যখন চালক আমাদের খুঁজে পায়, তখন আমরা তাকে কাবুল নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি।

কাবুলে এসে বিভিন্ন দূতাবাসে সাহায্যের আবেদন করেন রায়হানা। একপর্যায়ে তার বোন যিনি ব্রিটেনে থাকেন, তিনি আফগানিস্তান থেকে রায়হানা ও তার মেয়েকে একটি ফ্লাইটে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তারা ম্যানচেস্টারে আছেন।

রায়হানা বলেন, কঠোর প্রচেষ্টার পর আমি আফগানিস্তান থেকে বের হতে পেরেছি। আমি খুবই আনন্দিত যে, আমার মেয়ে আমার সঙ্গে আছে। ব্রিটিশ সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।

আফগানিস্তানে একাকী মায়ের জীবন সব সময় কলঙ্ক, দারিদ্র্য এবং প্রান্তিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এখন তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে সেসব নারী নিজেদের সুরক্ষা হারিয়ে ফেলেছে এবং তাদের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

Related Posts

Leave a Reply