জানেন বিমান উড়ানের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটান অর্ধেক পাইলট 

১) বিমানটি উড়ানের বেশিরভাগ সময়টা ঘুমিয়েই কাটান অর্ধেক পাইলট। দাঁড়ান, এখনই চমকাবেন না! একজন পাইলট হয়তো ঘুম ভেঙে দেখলেন পাশের পাইলটও ঘুমাচ্ছেন। ভাবুন তো কেমন লাগবে আপনার করছে?

২) প্লেনের টয়লেটের লকিং সিস্টেম নিয়েও কিন্তু সাবধান। সেখানেও কিন্তু অনেক সমস্যা রয়েছে। ভালো মতো জেনে নিন, আগেই কিভাবে লক করবেন টয়লেট। নইলে তো বুঝতেই পারছেন, কি হতে পারে!

৩) হয়তো উড়ছেন কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার বিমানে। খুব ভালো কথা। তবে মোটেই ভাববেন না বিশাল কোনো অভিজ্ঞ পাইলট বিমান চালাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে দেখলেন হয়তো সে সাধারণ কোনো আঞ্চলিক সংস্থার পাইলট।

৪) এবার আসা যাক ফ্লাইটে দেয়া খাবারের প্রসঙ্গে। ২ জন পাইলটকে নাকি দেয়া হয় ২ রকম খাবার। আর সেই খাবর তারা আবার নিজেদের মধ্যে ভাগ করে খেতেও পারবেন না। তাহলে নাকি ফুড পয়জনিং হতে পারে!

৫) বিমানের ভিতর অক্সিজ়েনের পরিমাণ কমে এলে বা শ্বাসকষ্ট শুরু হলে আপনার মুসকিল আসান নাকি অক্সিজ়েন মাস্ক। কিন্তু, কতক্ষণ? উত্তর হচ্ছে, ঠিক ১৫ মিনিট। আর এরমধ্যেই বিমানকে অক্সিজেন পূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে হবে পাইলটকে। নইলে কি হবে? সেটা একমাত্র আল্লাহই জানেন!

৬) ফ্লাইট টেক অফের জন্য রেডি। দয়া করে আপনারা সবাই নিজের নিজের মোবাইল সুইচ অফ করে দিন। ভেসে আসে সুন্দরী বিমানসেবিকার সুমধুর কণ্ঠস্বর। কিন্তু জানেন কি সেই ঘোষণার পর বিমানসেবিকা নিজে কি করেন? পর্দার পিছনে গিয়ে নিজের ফোন নিয়ে টেক্সট করতে বসেন। অবাক হলেন তো?

৭) খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছে বিমান। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে বাইরে। বিমান হয়তো একটু নড়েও উঠছে। আর আপনি ভয়ে হয়তো চিৎকার শুরু করে দিয়েছেন। সাবধান! পাইলট কিন্তু আপনাকে অ্যারেস্ট করতে পারেন। করতে পারেন জরিমানও।

৮) চা-কফি অর্ডার দিচ্ছেন? দাঁড়ান। জানেন, কি পানি দিয়ে চা বানানো হচ্ছে? নোংরা জলে। কারণ প্লেনের ট্যাঙ্কটা হয়তো ৬০ বছরের পুরনো। আর পুরো জীবনে হয়তো কখনো তা পরিষ্কার করা হয়নি।

৯) সুদৃশ্য মোড়ক ছাড়িয়ে কানে হেডফোনটা গুঁজে আয়েস করে বসলেন সিনেমা দেখতে বা গান শুনতে। হেডফোনটা আপনাকে দেয়ার সময় বলা হয়েছিল, ওটা একদম নতুন। কিন্তু জেনে রাখুন, ওটা একদমই নতুন নয়। নতুন হেডফোনের গল্পটাই আর পুরোটাই ভাঁওতা। পুরনোকেই পরিষ্কার করে আবার নতুন মোড়কে সাজিয়ে দেয়া হয়।