May 9, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

৫০ পেরতে না পেরতেই যমের দর্শন করতে পারে এটি 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ত্মহত্যা শব্দটা যে অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেভাবে নুন আমাদের মারছে না ঠিকই। কিন্তু স্লো পয়েজন করছে মারাত্মকভাবে! একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে খাওয়ার সময় যতবার আমরা আলাদা করে নুন নি পাতে, ততবারই দ্বিগুণ হারে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। তাহলে এবার হিসেবে করে দেখুন এতদিনে কী মারাত্মক ক্ষতিটাই না আপনি করে ফেলেছেন হার্টের। তবে আর নয়, এবার থেকে খাবারে নুনের পরিমাণ কমান। সেই সঙ্গে কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাসকে চিরদিনের জন্য বিদায় জানান। না হলে কিন্তু ৫০ পেরতে না পেরতেই যম রাজের দর্শন পেয়ে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, একাধিক কেস স্টাডির পর এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হয়েছে যে, যারা প্রতিদিন ১৩.৭ গ্রাম লবন খেয়ে থাকেন, তাদের হার্টে অ্যাটাকের আশঙ্কা সাধারণ মানুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, খাবারে নুনের পরিমাণ বাড়তে থাকলে শরীরে আরও অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন…
১. রক্তচাপ বাড়তে থাকে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘদিন ধরে বেশি মাত্রায় নুন খেয়ে গেলে এক সময়ে গিয়ে ব্লাড প্রেসার বাড়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। আর ব্লাড প্রেসার মাত্রা ছাড়ালে হার্ট এবং মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক চাপ পড়তে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন নুনের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্কটা কোথায়।
২. স্টমাক ক্যান্সার: লক্ষ করে দেখা গেছে সারা বিশ্বে প্রতি বছর যত সংখ্যক মানুষ স্টমাক ক্যান্সার আক্রান্ত হন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগের অতিরিক্ত নুন খাওয়ার বদ-অভ্যাস রয়েছে। আসলে বেশি মাত্রায় নুন খেলে স্টামাকের আবরণ নষ্ট হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এইচ.পাইলোরি নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াটি স্টমাক আলসারের পথ প্রশস্ত করে, যা পরবর্তি সময় স্টমাক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
৩. অস্টিওপোরোসিস: একাধিক স্টাডির পর বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগের সঙ্গে নুনের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। আসলে বেশি মাত্রায় নুন খেলে হাড়ে সঞ্চিত ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন হাড় দুর্বল হয়ে পরে, তেমনি অন্যদিকে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
৪. ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে: সরাসরি না হলেও পরোক্ষ ভাবে নুন ওজন বৃদ্ধির পথকে প্রশস্ত করে থাকে। কীভাবে এমনটা হয়? বেশি মাত্রায় নুন খেলে বা অতিরিক্ত নুন দিয়ে বানানো খাবার খেলে জল তেষ্টা বেড়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত মাত্রায় জল এবং কোল্ড ডিঙ্ক খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে অতিরিক্ত মাত্রায় কোল্ড ড্রিঙ্ক খেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই বৃদ্ধি পায় ওজন।
৫. কিডনি ডিডিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে: শরীরে নুনের পরিমাণ বাড়তে থাকলে কিডনিকে সেই অতিরিক্ত পরিমাণ নুনকে ইউরিনের মাধ্যমে বের করে দিতে হয়। না হলে দেহের অন্দরে খনিজের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে শুরু করে। অতিরিক্ত নুন বের করার সময় কিছু পরিমাণ নুন কিডনিতেও জমতে থাকে, যা এক সময়ে গিয়ে স্টোনে পরিণত হয়। সেই সঙ্গে ওভারটাইম কাজ করতে করতে কিডনির কর্মক্ষমতাও কমে যেতে শুরু করে। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা অতিরিক্ত মাত্রায় নুন খেতে মানা করে থাকেন।

Related Posts

Leave a Reply