May 7, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সাবধান! ট্যাটু করিয়ে এই মাংসাশী ব্যাকটেরিয়াকে ডাকছেন না তো ?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
কেউ পছন্দ করেন নিজের নাম খোদাই করতে,  কেউ ভালবাসার মানুষের। কেউ আবার ঈশ্বরের। কেউ কেউ তো আবার শরীর জুড়ে আঁকতে চান তার পছন্দের ছবি। সবাই এখন মজেছে ট্যাটুতে। কখনও সেই ট্যাটু হয়ে উঠছে স্টাইল স্টেটমেন্ট কখনও বা সেই ট্যাটুর জেরেই সেলিব্রিটিরা জড়িয়ে পড়ছেন বিতর্কে।
তবে, এই ট্যাটুই হয়ে উঠতে পারে দুঃস্বপ্ন। হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ। তেমনই এক কাণ্ড ঘটেছে এক মার্কিন যুবকের সঙ্গে। ট্যাটু করানোর কয়েকদিনের মাথায় মৃত্যু হল ৩১ বছর বয়সী এক যুবকের।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সমুদ্রের জলে থাকা একধরনের মাংসাশী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে তার। ট্যাটু আর্টিস্টের বারণ সত্ত্বেও পায়ে ট্যাটু করানোর পাঁচদিনের মাথায় মেক্সিকান উপসাগরে সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন তিনি। তার কিছুদিন পর থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হন, পাশাপাশি ট্যাটু করানো ত্বকের অংশ ক্রমশই লাল হয়ে যায় এবং ফোস্কার আকার নেয়।
চিকিৎসকের সন্দেহ, এর কারণ ‘ভিবরিও ভালনিফিকাস’ নামের এক ব্যাকটেরিয়া, যা মূলত বাস করে উপকূলবর্তী সমুদ্রের জলে। স্নানের সময়ই সেই জীবানু ট্যাটু করা ত্বকের ক্ষতের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে ওই যুবকের শরীরে। যা ধীরে ধীরে সংক্রমণের আকার নেয় আর সেই সংক্রমণের জেরেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক রিসার্চে দেখা গিয়েছে, ট্যাটু মূলত প্রভাব ফেলে আমাদের ঘর্মগ্রন্থিতে। চিরস্থায়ী ট্যাটু করার ক্ষেত্রে ত্বকে ৩ থেকে ৫ মিলিমিটার গভীর ছিদ্র করা হয়ে, যেখানে রয়েছে আমাদের ঘর্মগ্রন্থি, ট্যাটুর ফলে নষ্ট হয়ে যায় বেশ কয়েকটি গ্রন্থি। আর যার ফলে শরীরে প্রভাব ফেলে নানাধরনের রোগ।
তাই চিরস্থায়ী ট্যাটু না করানোরই নির্দেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষত যারা উচ্চরক্তচাপ, হাইপারটেনশেন, হৃদরোগ বা মধুমেহ রোগে আক্রান্ত, অথবা যাদের মেকআপ বা লিপস্টিকে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে ট্যাটু।

Related Posts

Leave a Reply