May 4, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

১ মিনিটও লাগছে না এদের একাউন্ট থেকে কোটি কোটি গায়েব করতে 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সাইবার জালিয়াতির বড়সড় চক্র সক্রিয় ভারতে। সরকারি দফতর থেকে আম নাগরিকের অন্দরমহল—সর্বত্রই হানা দিচ্ছে প্রশিক্ষিত হ্যাকাররা। প্রতারণার এমন জাল পাতা হচ্ছে যে তাতে পা দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে প্রবীণ ও গৃহবধূদের নিশানা করছে প্রতারকরা। কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জেনে নিয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আবার কখনও ডিজিটালে বিনিয়োগের লোভ দেখিয়ে ডার্ক ওয়েবের অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে প্রতারকরা।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একজন সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বছরের শুরু থেকে অক্টোবর মাস অবধি বিশ্বজুড়ে মোট ৩,৩০০ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এভাবে টাকা উধাও হয়েছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছরই বাড়ছে অনলাইনে প্রতারণার ঘটনা। আগে সাধারণ মানুষকেই বেশি টার্গেট করত হ্যাকাররা, এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকী বাণিজ্যিক সেক্টরগুলিতে হানা দিচ্ছে প্রতারণা চক্রগুলি। কম্পিউটার সিস্টেমে ম্যালওয়ার ঢুকিয়ে জরুরি ও গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। করোনাকালে ওই চক্র বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে বলও জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কুইক হিল টেকনোলজিস লিমিটেড গোটা দেশে একটি সমীক্ষা চালায়। দেশের কোন শহরে সাইবার প্রতারণা বেশি হচ্ছে, কী কী কৌশলে প্রতারকরা লোক ঠকাচ্ছে তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তাতেই ধরা পড়ে, দেশের মেট্রো শহরগুলিতে অহরহ ঘটে চলেছে সাইবার প্রতারণা। প্রতি মুহূর্তে সাইবার জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন কেউ না কেউ। সাইবার জালিয়াতিতে কলকাতা অনেক এগিয়ে। তারপর জায়গা করে নিয়েছে যথাক্রমে পুণে ও দিল্লি।
সাইবার প্রতারণা নিয়ে কলকাতা পুলিশ বহুবার জরুরি গাইডলাইন দিয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, অপরাধীরা প্রতারণার পদ্ধতি ঘন ঘন বদলে ফেলছে। আগে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ডের পিন জেনে প্রতারণা চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে ‘কেওয়াইসি’ করার নাম করে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে ব্যাঙ্কের তথ্য জেনে প্রতারণা চলছে।  এই কারণে মোবাইলে কাউকে কোনও তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পাশাপাশি, সমাজমাধ্যমে কাউকে বিশ্বাস করে কোনও তথ্য দিতেও নিষেধ করা হচ্ছে। কোনও সমস্যা হলে বা কাউকে সন্দেহ হলেই পুলিশে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশের সাইবার বিভাগ।
পুলিশ জানাচ্ছে, অজানা নম্বর থেকে কোনও লিঙ্ক এলে বা ইমেল করা হলে তা একেবারেই খুলে দেখবেন না। জানবেন এগুলো সবই কন্ট্রোল করছে কোনও না কোনও হ্যাকাররা। যে মুহূর্তে আপনি লিঙ্ক খুলবেন বা প্রতারকদের পাঠানো কোনও ফর্ম ভরে টাকা দিতে যাবেন, সেই মুহূর্তে আপনার নাম, ঠিকানা, ব্য়াঙ্ক ডিটেলস সহ যাবতীয় তথ্য হ্যাকারদের কাছে পৌঁছে যাবে।

Related Posts

Leave a Reply