May 3, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

গ্রাম নয় প্রায় শহর, তবে নগ্ন ! 

[kodex_post_like_buttons]

নিউজ ডেস্কঃ

নগ্ন হতে রাজি হলেই কিনতে পারবে জমি। অন্যথায় জমিও মিলবে না, মিলবে না বাড়ি-ঘর বা বসবাসের সুযোগ। অবাক হচ্ছেন? ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে অবস্থিত স্পিলপ্লাজ নামক গ্রামে এমনই রীতি! কারণও আছে, ওই গ্রামে কেউ কাপড়ই পরে না। তাই সেখানে থাকতে চাইলে তাদের মতো করেই থাকতে হবে আপনাকে।

নগ্ন বিচের কথা শোনা গেছে, নগ্ন অবকাশযাপন কেন্দ্রের কথাও অনেকের জানা, আছে নগ্ন রেস্টুরেন্টও, কিন্তু নগ্ন গ্রাম! হ্যা, দক্ষিণ আমেরিকায় ঘনজঙ্গলে কিছু আদিবাসী আছে যারা এখনও সভ্যতার ছোঁয়া পায়নি। তাদের ব্যাপার হলে অন্য কথা ছিল। কিন্তু সভ্যতার পথপ্রদশক বলে যারা নিজেদের দাবি করে সেই ইংল্যান্ডের এমন গ্রামের কথা শুনলে অনেকেই হয়ত অবাক হবেন। তবে গ্রামবাসীরা অবশ্য নগ্নতার মধ্যে অসভ্যতার কিছু দেখেন না। আর যেখানে ইউরোপ-আমেরিকার সামনের সারির সভ্য দেশগুলোর শিক্ষিতরা নগ্নতার দাবিতে আন্দোলন করছেন, রাস্তার মধ্যে কাপড় খুলে ব্যানার হাতে টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন সেখানে ওই গ্রামবাসীকে অসভ্য বলার সুযোগই বা কোথায়? তারা তো নিজেদের মতো করে থাকছেন, কারও বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছেন না। এটা ওই গ্রামেরই মানুষের কথা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে- ওই গ্রামের মানুষ বেশ সচেতন ও সৌখিন। তারা গায়ে কাপড়ের কোন পোশাক না পরলেও রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস ঠিকই ব্যবহার করেন। গলায় সোনার চেন এমনকি আঙ্গুলে আংটিও পরেন শখ করে। গ্রামের ভেতর বেশ সমৃদ্ধ বারও আছে। শুধু পোশাকই নেই গায়ে। মোর-৪ নামের একটি টিভি চ্যানেল সেই গ্রামের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়ে একটি ধারাবাহিক ডকুমেন্টরি তৈরি করছে। এর ফলেই নতুন করে আলোচনায় চলে আসে স্পিলপ্লাজ।

শোনা গেছে, ওই গ্রামের সবাই বস্ত্রহীন। প্রথম দর্শনে একে আর দশটি গ্রামের মতোই মনে হবে। ছবির মতো সুন্দর, বেশ পরিপাটি। কিন্তু আপনার ধারণা পাল্টাতে শুরু করবে যখন আপনি এই গ্রামের কোনো বাসিন্দার দেখা পাবেন। এই গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামটিকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পুরনো নগ্নতাবাদী অঞ্চল বলে দাবি করেন। তারা এতটাই নগ্নতাবাদী যে আপনি যদি তাদের মতের সাথে একমত না হন তাহলে সেই গ্রামের কেউ আপনার কাছে জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর কিছুই বিক্রি করবে না।

এই গ্রামের বাসিন্দা ৮৫ বছর বয়সী ইছিয়ুট রিচার্ডসন বলেন, আমি বুঝি না এটা নিয়ে এত হৈচৈ করার কি আছে। আমি তো অন্য গ্রামের সাথে এই গ্রামের কোনো পার্থক্য দেখি না। ওরা যেভাবে জীবন ধারণ করে আমরাও সেইভাবে করি। সকালে ঘুম থেকে উঠি, দিনের কাজ শুরু করি, বাজারে যাই, পানশালায় যাই, দুধওয়ালা, পোষ্টম্যানরা আমাদের বাড়িতে আসে। সবই তো স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক তো কিছু দেখি না। আমরা শুধু বস্ত্রহীন থাকি, এই যা।

 

Related Posts

Leave a Reply