পাকিস্তানের সাংবাদিকদের বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি প্রশাসনের !
কলকাতা টাইমসঃ
সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের ব্যাপারে সবার আগে স্থান পাকিস্তানের। ২৫ জুলাই সেই দেশেই সাধারণ নির্বাচন। তার আগেই দফায় দফায় প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন পাকিস্তানের সাংবাদিকরা। সংবাদিকদের কন্ঠ রোধে এখন থেকেই মাঠে নেমেছে পাকিস্তান প্রশাসন। এমনটাই দাবি পাকিস্তান প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের।
সাংবাদিককে অপহরণ থেকে খুন, সবই ঘটে পাকিস্তানের অলি গলিতে। সবচেয়ে বেশি রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, ইসালামাবাদে। ভোটের আগে তাই বেশ আতঙ্কে রয়েছেন সেদেশের সাংবাদিকরা। পাকিস্তান প্রশাসনের নির্দেশনামা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের দপ্তরগুলিতে। সংবাদ মাধ্যমকে কড়া বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রধান রাজৈনতিক দলগুলিও। সরাসরি বলা হচ্ছে, সীমা অতিক্রম করলে বন্ধ হবে অফিস, বেতন। পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টের প্রেসিডেন্ট আফজল ভাট জানাচ্ছেন, এই দেশে সংবাদ মাধ্যম প্রশাসনের পুতুল। অফিস বন্ধ করে দেওয়া বা বেতন আটকে দেওয়ার হুমকি এই প্রথম পাচ্ছেন সাংবাদিকরা।
কয়েকমাস আগেই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সংবাদ মাধ্যম জিও টিভিকে অফ এয়ার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সংক্রান্ত খবর নিয়ে বিতর্ক ছড়ানোয় প্রায় ১ সপ্তাহ বন্ধ থাকে জিও টিভি। সরকারের সঙ্গে আপোস করে ফের সম্প্রচারের ছাড়পত্র পায় চ্যানেলটি। একই অভিযোগ পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরনো সংবাদপত্র দ্য ডন এর বিরুদ্ধেও। পাকিস্তানেরক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাক্ষাৎকার বিতর্কের উৎস। শরিফ বলেছিলেন, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পেছনে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাত। এই সাক্ষাতকার ছাপানোর পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় দ্য ডন। আপোস করেন পত্রিকার সম্পাদক।