April 30, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

জানতে চান মেয়েদের গোপন ৬ অধ্যায় ! 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

পড়াশোনা হোক, কিংবা কর্মক্ষেত্র—মেয়েরা আজ সর্বত্রই ছেলেদের সমকক্ষ হয়ে উঠেছে। পেশা কিংবা লেখাপড়ার প্রয়োজনে আজকের মেয়েদের অনেক সময়েই নিজেদের আত্মীয়স্বজনের থেকে দূরে অন্য কোনও শহরে গিয়ে থাকতে হয়। সে সময়ে প্রধানত হোস্টেলই হয় তাদের আশ্রয়। গার্লস হোস্টেল বা লেডিজ হোস্টেল মানেই মেয়েদের নিজস্ব জগত। পুরুষদের প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ। ফলে হোস্টেলের বাইরের দুনিয়ায় যে সমস্ত কাজ মেয়েদের ক্ষেত্রে ‘নিষিদ্ধ’, ‘অশোভন’ কিংবা ‘অদ্ভুত’ বলে বিবেচিত হয়, তার অনেকগুলিই বিন্দাস চলতে পারে লেডিজ হোস্টেলের ভিতরে। কী সেই সমস্ত কাজ?

স্বল্পবাস অন্তর্বাস : ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে স্বল্প পোশাকে ঘুমনো প্রায় সব সময়েই আরামদায়ক। বাড়িতে না পারলেও হোস্টেলে তেমনটা করতে বাধা নেই। কাজেই অনেক সময়ে, বিশেষত টায়ার্ড থাকলে, শুধু প্যান্টি আর ব্রা পরেই ঘুমিয়ে পড়ে মেয়েরা।
বদভ্যাস খাদ্যাভ্যাস : হোস্টেলে যে খাবার দেওয়া হয়, অনেক সময়েই তা মুখে তোলার যোগ্য হয় না। কোনও কারণে খেতে একটু রাত হয়ে গেলে, মেলে না কোনও খাবারই। ফলে তখন হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তা-ই খেয়েই মেটাতে হয় খিদে। ডাল-ভাতের সঙ্গে চানাচুর, কিংবা ঝুড়িভাজা দিয়ে রুটি খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে হোস্টেল-নিবাসী অনেক মেয়েরই। আর ম্যাগি তো হোস্টেল-জীবনে খিদের মুহূর্তে প্রায় অনিবার্য সঙ্গী হয়ে থাকে।

দখলদার বাথরুম : হোস্টেল মানেই যত সংখ্যক বাসিন্দা, তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক বাথরুম। কাজেই বাথরুমে যাওয়ার তাড়া থাকলেও সব সময়ে বাথরুম খালি মেলে না। সেই সময়ে যে মেয়ে বাথরুমটি এনগেজ করে রেখেছে, সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে তার উপরেই। তাকে বেশি তাড়া দিলেই শুরু হয় চেঁচামিচি, লেগে যায় ঝগড়া।

দল বেঁধে পর্ন ফিল্ম দেখা: ইন্টারনেট, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন আজকের দিনে কার্যত সকলের হাতে হাতে পৌঁছে দিয়েছে পর্ন ফিল্মকে। বাবা-মায়ের সঙ্গে যখন মেয়েরা থাকে, তখন সব সময়ে নিশ্চিন্তে পর্ন ফিল্ম দেখার সুযোগ মেলে না। বন্ধুদের সঙ্গে বসে চুটিয়ে পর্নের আনন্দ উপভোগের সুযোগ তো হয় না বললেই চলে। কিন্তু হোস্টেল-জীবনে সেই কাজ করার বাধা নেই কোনও।
একটু-আধটু নেশা তো চলেই : সমাজ যতই ‘আধুনিক’ হয়ে থাকুক, মেয়েদের মদ খাওয়া বা নেশা করাকে এখনও মোটেই ভাল চোখে দেখে না সমাজের একটা বড় অংশ। কিন্তু গার্লস হোস্টেলের চার দেওয়ালের অন্দরে মেয়েদের অবাধ স্বাধীনতা। ফলে হোস্টেলের ঘরে মাঝেমধ্যে নেশা করতে তাদের বাধা নেই কোনও।
মেক-আপ কীপ আপ : ঘর একটা, ঘরে ড্রেসিং টেবিল একটা, কিন্তু বাসিন্দা হয়তো চারটি মেয়ে। একটি ড্রেসিং টেবিলেই জমা হচ্ছে তাদের মেক-আপের যাবতীয় জিনিসপত্র। ফলে ‘তুই আমার লিপস্টিকটা নিলি কেন?’, ‘মোটেই না, বরং তুই-ই আমার আই লাইনারটা ইউজ করেছিস’—এই জাতীয় ঝগড়া গার্লস হোস্টেলে লেগেই থাকে।

Related Posts

Leave a Reply