May 6, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

ঋতুমতী দূর্গা, বিতর্কে শিল্পী!  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমসঃ

র্তমান সময়ে এসেও ঋতুস্রাব নিয়ে নানান গোপনীয়তা। সেটা প্রকাশ্যে বলতে যেমন লজ্জা পান অনেকে, কেউ বলে ফেললে তাকে দেখা হয় নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গিতে। এমনকি ঋতুস্রাবের সময় ধর্মীয় উপাচারে অংশগ্রহণ করতেও দেওয়া হয় না মহিলাদের।

সেই সঙ্কট দেখা দেয় স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গেলেও। দোকানদার সেটিকে কালো পলিথিনে মুড়ে দেন। প্রশ্ন করলে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। ভাবটা এমন, প্রশ্নকর্তা কি কিছুই জানেন না? কী নির্বোধ! এ ধরনের সমাজে কেউ যদি সামান্য রসিকতাও করতে যান, তাহলে যে গোটা সমাজ মিলে তাকে জ্যান্ত শূলে চড়ানোর বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করবে, তা তো একপ্রকার নিশ্চিতই।

মুম্বাইবাসী বাঙালি অনিকেত মিত্রও তার ব্যতিক্রম নন। দুর্গাপুজো ও স্যানিটারি ন্যাপকিনকে নিয়ে একটি শিল্পকর্মই গড়েছিলেন তিনি। তা ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। ফলাফল? তার নামে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। দুর্গার আটচালায় স্যানিটারি ন্যাপকিন। সেখানে ঋতুমতীর রক্তে একটি লাল গোলাপ আঁকা। ছবিটা আপাতদৃষ্টিতে ছিল এমনটাই। প্রাথমিকভাবে তা প্রশংসা কুড়িয়েছে বিভিন্নমহল থেকে। তারপরই আসরে নামে চরমপন্থীরা। ঘুরে যায় খেলা!

সেই চরমপন্থারই একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছিল সৌরাংশু বিশ্বাস নামের একজনের মন্তব্যে। তিনি লেখেন, এমনটা যদি দক্ষিণ ভারতে হতো, তাহলে অনিকেতের হাত কেটে ফেলত ওখানকার মানুষ। আমরা বাঙালিরা খুবই সহিষ্ণু, তাই এগুলো সহ্য করি। কিন্তু, এটা আমাদের মা দুর্গাকে অপমান এবং আমরা সেটা কোনোভাবেই সহ্য করব না। প্রশ্নই নেই। অনিকেতের সমর্থনেও এগিয়ে এসেছিলেন অনেকে। ‘এখন আর মন্তব্য করার আগে কেউ একটুও ভেবে দেখে না। তাদের কেবল একটা হিন্দু সংস্করণ, একটা মুসলমান সংস্করণ এবং একটা খ্রিস্টান সংস্করণ দরকার। ব্যাস’, বলেন শিঞ্জনা দাস নামের আরেকজন।

জীতাংশু শর্মা নামে একজন লেখেন, এখনো মানুষ সত্যিটা মেনে নিতে ভয় পায়। এমন একটি ভাবনার জন্য আপনাকে কুর্নিশ। নির্ভয়ে থাকুন। কিন্তু এই ছবিটি যার তৈরি, সেই অনিকেত মিত্র কী বলছেন? তিনি বলেন, আমি আমার মা এবং বোনের কষ্ট দেখেছি। দেখেছি ঋতুমতী হওয়ার পর কীভাবে পুজো সহ তাদের সমস্ত ধর্মীয় উপাচার থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়।

তিনি আরো বলেন, এই ছবিটির মাধ্যমে একটি বার্তাই দিতে চেয়েছিলাম আমি। কোনো ঋতুমতী নারীকেই দুর্গাপূজোর উৎসব থেকে স্রেফ ঋতুমতী হওয়ার কারণেই সরিয়ে রাখা উচিত নয়। প্রসঙ্গত, অনিকেত মিত্রর বিতর্কিত ছবিটি ২৪ ঘণ্টায় চার হাজারের বেশি শেয়ার হওয়ার পর ফেসবুক তা মুছে দেয়।

Related Posts

Leave a Reply