April 28, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

খুন করে ৭ মাস স্ত্রীকে ‘বাঁচিয়ে’ রাখলেন চিকিৎসক

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বিচ্ছেদ হলেও স্ত্রীর যোগাযোগ ছিল পেশায় চিকিৎসক ধর্মেন্দ্রপ্রতাপ সিংহের। বিভিন্ন সময় তারা মেলামেশাও করতেন। সেই যোগাযোগেই শেষ প্রাণ গেল প্রাক্তন স্ত্রীর। ঘাতক সেই চিকিৎসকও। সন্দেহ এড়াতে বেশ কৌশলী পথও বেছে নিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৭ মাস মৃত প্রাক্তন স্ত্রীকে সকলের কাছে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রতাপ। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের। ২০০৬ সালে বিবাহিত শল্য চিকিৎসক ধর্মেন্দ্র প্রতাপের সঙ্গে আলাপ রাখী শ্রীবাস্তব ওরফে রাজলক্ষ্মীর । অল্পদিনের মধ্যে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। শাহপুরে তাঁকে একটি ফ্ল্যাটও কিনে দেন ধর্মেন্দ্র। গোপনে ২০১১ সালে বিয়েও করেন দু’জনে। কিন্তু সব কিছু জানতে পেরে যান ধর্মেন্দ্রর  প্রথম স্ত্রী ঊষা সিংহ। স্বামীকে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেন তিনি।

এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মণীশ সিংহ নামে আর এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন রাখী। তবে দ্বিতীয় বিয়ের পরও ধর্মেন্দ্র-র সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। শাহপুরের ফ্ল্যাটটি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য ধর্মেন্দ্র-র উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন তিনি।

এরই মধ্যেই এ বছর জুন মাসে স্বামী মণীশের সঙ্গে নেপাল বেড়াতে যান রাখী। জানতে পারেন বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে আসছেন ধর্মেন্দ্রও। তাই তড়িঘড়ি স্বামীকে ফেরত পাঠিয়ে দেন তিনি। নিজে থেকে যান পোখরায়। দেখা করতে গিয়ে পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে খাইয়ে দেন ধর্মেন্দ্র ও তাঁর সঙ্গীরা। তারপর পাহাড়ের উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। রাখীকে খুন করে তিনজনই দেশে ফিরে আসেন। এক সহচরের মাধ্যমে রাখীর ফোনটিকে আসামে পাঠিয়ে দেন ধর্মেন্দ্র। যার মাধ্যমে রাখীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালু রাখেন তিনি। নিয়মিত আপডেটও দিতে থাকেন, যাতে মনে হয় আসামে রয়েছেন রাখী।

কিন্তু মেয়ের হদিশ না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাখীর পরিবারের লোকজন। প্রথমে দ্বিতীয় স্বামী মণীশের উপরই সন্দেহ ছিল পুলিশের। তাঁর ফোনের রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হয়েছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী বাহিনী সিট তদন্তের ভার নিলে দেখা যায়, ওই সময় নেপালে ছিলেন ধর্মেন্দ্রও। তাতেই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়।

তদন্তকারীদের একটি দল নেপালের পোখরায় গেলে রাখীর দেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করে সেখানকার পুলিশ। তারপরই ধর্মেন্দ্র প্রতাপকে আটক করা হয়। লাগাতার জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়েন তিনি। টাকা ও সম্পত্তির জন্য হুমকি পাচ্ছিলেন বলেই প্রাক্তন স্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

Related Posts

Leave a Reply