April 27, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

এই তিন উপায় থাকলে তবেই পাবেন ভালোবাসার মানুষ

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ম্প্রতি এক গবেষণার সমীক্ষায় বলা হয়েছে ভালোবাসা কিভাবে বদলে গেছে। পুরনো আমলে ভালোবাসা অনেক সহজ ছিল। গবেষণায় বলা হয়েছে কিভাবে খুব গভীর একটা সম্পর্কও শেষ হয়ে যায়। আবার এও দেখানো হয়েছে, মানুষ গড়ে কত বছর বয়সে বিয়ে করে।

একটি চার্টে সমাজবিজ্ঞানী মাইকেল রোজেনফিল্ড দেখিয়েছেন বিগত ৬০ বছরে ভালোবাসার বৈশিষ্ট্য কিভাবে পাল্টেছে। অনলাইন ডেটিং দারুণভাবে বেড়েছে। ভালোবাসায় সমকামিতা অনেক দেখা যাচ্ছে। ২০০৯ সালে ২০ শতাংশ দম্পতি শিকার করেন যে তাদের পরিচয় হয় অনলাইনে। বর্তমানে অনলাইনে ভালোবাসা গড়ে ওঠার হার অনেক বেশি।

দুজনের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টির উপায় বেশ কম। মাত্র তিনটি উপায়ে ছেলে-মেয়েরা একে অপরের সঙ্গে মিশতে পারছে। বন্ধুমহলের মাধ্যমে, কোনো বার বা রেস্টুরেন্টে এবং অফিসের সহকর্মীদের মাধ্যমে তারা মনের মানুষের দেখা পাচ্ছেন।

রোজেনফিল্ড আরো দেখিয়েছেন এ সময়ের মধ্যে জীবনও কতটা বদলেছে। বলা হয়েছে, আমেরিকার ধর্মীয় অনুভূতির মেরুদণ্ড কিভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। পিউ রিসার্ট সেন্টারের এক গবেষণায় বলা হয়, ১৯৩০-১৯৪০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম হয়েছে তারা ধর্ম পালনে সপ্তাহে অন্তত একদিন সময় দিতেন। আর ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে যারা জন্মেছেন তাদের এক-চতুর্থাংশ কদাচিৎ এ কাজটি করেন। আবার যারা অনলাইন ডেটিং করেন তাদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি ভয়, শ্রদ্ধাবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনের মাত্রা অনেক কম থাকে।

এ ছাড়া শহুরে জীবনযাপনের প্রবণতার কারণেও মানুষ অনেক বদলেছে। বিয়ের আগে প্রেম মূলত বার ও রেস্টুরেন্টমুখী হয়ে গেছে। ১৯৪০ সালে ৫৭ শতাংশ মানুষ শহরে বাস করতো। ২০১০ সালে দেখা গেছে ৮১ শতাংশ মানুষ শহুরে জীবনযাপন করছে।

পরিবার ভেঙে যাওয়ার পেছনেও কারণ রয়েছে। বিপরীত লিঙ্গে তরুণ-তরুণির মেলামেশা, একই জাতি-গোত্র ও বর্ণের মিলন পরিবারের শক্তিশালী বন্ধন সৃষ্টি করে। ২০১২ সালের এক গবেষণাপত্রে রোজেনফিল্ড লিখেছেন, পরিবারগুলো সন্তানের সম্পর্ক বিষয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছেন। এর জন্যে তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় সন্তান ও অভিভাবকের মাঝের দেওয়ালটা অনেক ঘোলা হয়ে গেছে।

আগের ভালোবাসা এখন প্রায় বিরল। মানুষ এখন জীবনসঙ্গী অপেক্ষা এমন মানুষ চান যিনি কিনা তাকে সঙ্গ দিতে পারেন। গবেষণার তথ্য আরো জানায়, ছেলে-মেয়ের সম্পর্ক জুড়ে দিতে নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় বিয়ের আয়োজন বা আদল বদলেছে। তবে এদের নানা প্রচেষ্টা ও গবেষণায় দাম্পত্য জীবন বেশ সহনীয় হয়ে উঠছে। তাই ভালোবাসার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে এদের কিছুটা ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে।

Related Posts

Leave a Reply