April 28, 2024     Select Language
Audio News Editor Choice Bengali শারীরিক

৫ বছরে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, জানিয়ে দেবে সামান্য রক্ত পরীক্ষা  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

গামী ৫ বছরে কি আপনার করোনারি হার্ট ডিজিস হতে পারে? নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সামান্য এক রক্ত পরীক্ষায় এ প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে।

বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন যে, যে রোগীদের দেহে উচ্চমাত্রার ইমিউনোগ্লোবিন জি (এলজিজি) রয়েছে তাদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি কম থাকে। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে আসে। এটি উচ্চরক্তচাপ বা উচ্চমাত্রার কোলেস্টরেলের চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ।

যদিও মানুষের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি নিরূপণে আরো বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তবে উন্নতমানের পদ্ধতির সাহায্যে ঝুঁকির মাত্রা আঁচ করা সম্ভব। রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় যে, তার হৃদরোগ হার্ট অ্যাটাক ঘটাবে কিনা।

কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস এবং হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস। এটা ধমনীর দেয়ালে জমা হওয়া এক ধরনের ফ্যাটি ডিপোজিট। এতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।

সাম্প্রতিক এই গবেষণায় ১৭৫৩ জন রোগীকে টানা ৫ বছর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। দেখা গেছে, যাদের দেহে উচ্চমাত্রার এলজিজি রয়েছে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৫৮ শতাংশ কমে আসে। আবার এদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা ৩৮ শতাংশ কমে আসে।

এই ব্রিটিশ গবেষণায় বলা হয়, ব্রিটেনে হার্ট অ্যাটাকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটে। তবে একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মানুষের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি নিরূপণ করা যায়।

ব্রিটেনের ন্যাশনাল হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ এবং প্রধান গবেষক ড. রামজি খামিস জানান, এ পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন রোগীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। কাজেই তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আগে থেকেই গ্রহণ করতে পারবেন। এ পরীক্ষা অনেক বেশি নিখুঁত ফলাফল দিতে পারে। প্রচলিত পদ্ধতিতে কাজটি করতে গেলে অনেক ভুল থেকে যায়। ফলে রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন।

ড. খামিস আরো জানান, এ উদ্ভাবন রোগীদের মৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে আনতে পারে। কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকির মাত্রা সঠিকভাবে জানা গেলে আগে থেকেই চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। ফলে রোগীর সমস্যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক পর্যন্ত গড়াবে না।

এখন পর্যন্ত একটা বিষয় পরিষ্কার হয়নি। তা হলো, জীবনযাপনের ফলে এলজিজি-এর মাত্রা নির্ভর করে কি না। তবে খাদ্যাভ্যাসের কারণে এর মাত্রা বাড়তে বা কমতে পারে। তবে উপসংহার টানার আগে আরো গবেষণা প্রয়োজন।

Related Posts

Leave a Reply