April 30, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

যেকোন রোগ সারাতে ডিম্ নয় এর খোসা বেশি উপকারী 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

মুরগি ও হাঁসের পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম, যেমন খাদ্য উপাদান হিসেবে সহজলভ্য, তেমনি ডাক্তার ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা ব্যালেন্স ডায়েট হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

পুষ্টিকর ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে ডিম থাকে সবারই বাড়িতে। কিন্তু, ডিম ব্যবহারের পর এর যে খোসা আমরা ফেলে দেই, তা কিন্তু আসলে মোটেই ফেলনা নয়।

ডিমের খোসায় আছে ৯০ শতাংশ ক্যালসিয়াম, যে কারণে ক্যালসিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে এটি অসাধারণ। বেশ কিছু রোগ নিরাময়ে এটি উপকারী।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ছাড়াও ডিমের খোসায় থাকে আয়রন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফ্লোরিন, ক্রোমিয়াম এবং মলিবডেনাম। এ কারণে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে একে ব্যবহার করার উপদেশ দিয়ে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

এক চা চামচ ডিমের খোসা গুঁড়োর ওজন মোটামুটি ৫ গ্রাম এবং এতে ১৬০০-১৮০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। বয়সের ওপর ভিত্তি করে দৈনিক ১.৫ থেকে ৩ গ্রাম পর্যন্ত ডিমের খোসার গুঁড়ো খাওয়াটা কার্যকরি। দেখে নিন কী করে ডিমের খোসা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আপনার কাজে আসতে পারে—

থাইরয়েড গ্ল্যান্ড সক্রিয় রাখতে: ৮টি ডিমের খোসা নিন, ভালো করে ধুয়ে ও শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এরপর দুটি লেবুর রস চিপে নিন এই গুঁড়োর ওপর। এই মিশ্রণ কয়েকদিন ফ্রিজে রেখে দিন। যখন লেবুর রসে গুঁড়ো সম্পূর্ণ গলে যাবে, তখন এর সাথে মিশিয়ে নিন এক লিটার পানি ও এক কেজি মধু। মিশ্রণটি ৭ দিন রেখে দিন। এরপর প্রতিদিন খাবার পর ১ টেবিল চামচ করে খেতে পারেন, দিনে দুই থেকে চার বার।

গ্যাস্ট্রিক বা আলসারজনিত ক্র্যাম্প: এক টেবিল চামচ ডিমের খোসা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন সমপরিমাণ চিনি ও জয়ফল গুঁড়োর সাথে। দিনে তিনবার এক টেবিল চামচ এই মিশ্রণ পানিতে মিশিয়ে পান করুন, ২০ দিন পর্যন্ত।

রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য: ৪-৫টি ডিমের খোসা পরিষ্কার করে গুঁড়ো করে নিন। ৩০০ মিলি পানি ঢেলে দিন এর ওপর। পানি ও ডিমের খোসা গুঁড়োর এই মিশ্রণ ফ্রিজে রাখুন ১ সপ্তাহ। এরপর সাধারণ পানির মতো একে পান করুন। লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে ২-৩ গ্লাস পান করুন দৈনিক।

Related Posts

Leave a Reply