May 7, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বাচ্চার সারাক্ষণ নোংরা ঘাঁটায় চিন্তিত ? তাহলে অবশ্যই পড়ুন

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

পনার বাচ্চা সারাক্ষণ নোংরা ঘাঁটছে? ভয় পাচ্ছেন ইনফেকশনের? আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা। কাদামাটি ঘেঁটেই বাচ্চা হবে আরও হেলদি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। জীবনভর সুরক্ষিত থাকবে শরীর।

আচ্ছা বলুন তো হাঁপানি, ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি,কানে সংক্রমণ। এই রোগগুলোর মধ্যে মিল কোথায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের শরীরে এই রোগগুলোর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে।গলদটা কোথায়? তাহলে কি শিশু যত্ন পাচ্ছে না ঠিকমতো? কেন শিশুর শরীর জীবাণুর আক্রমণে দ্রুত ভেঙে পড়ছে? মায়েদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাহলে কি শিশুকে আরও আগলে রাখতে হবে? আরও যত্ন, আরও আতুপুতু। নাহ্, সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। 

বিজ্ঞান বলছে তাকে নোংরা ঘটতে দিন। সে কি! বাচ্চা এভাবে নোংরা ঘাঁটবে, আর তাকে বাধা দেওয়া হবে না? নোংরা হাত মুখে দেবে, আর সে সুস্থ থাকবে। হয় নাকি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলবাত হয়।শিশুরা নোংরা ঘাঁটলে বা তাদের পেটে একটু-আধটু নোংরা গেলে ক্ষতি নেই। বরং লাভ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। যা জীবনভর তাকে রক্ষা করবে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরজীবী, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে যেহেতু শিশুদের সাক্ষাত্‍ কম হয়, তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্জি, হাঁপানির মতো রোগের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জীবাণুর মুখোমুখি হওয়াটা প্রয়োজন। একটু-আধটু নোংরা ঘাঁটায় তাই শিশুদের বারণ নেই।বিশেষজ্ঞদের দাবি, ঘাস-পাতা, কাদামাটি থেকে শিশুকে দূরে সরানোর প্রয়োজন নেই। তার চারপাশের প্রকৃতিকে স্পর্শ করা বা স্বাদ নেওয়ার বেশি প্রয়োজন।বোতলে পড়ে থাকা তরল বা খাবার পরিষ্কার করতে সবসময় গরম জলে বোতল ধোয়ার প্রয়োজন নেই।অনবরত ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক সাবান মাখানোরও প্রয়োজন নেই।একটু-আধটু সর্দি-কাশিতে শিশুকে যখন-তখন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো ছাড়তে হবে।বিড়াল, কুকুর, খরগোশ, গিনিপিগ, ভেড়া, ঘোড়াকে আদর করার স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে শিশুদের।

সংক্রমণের ভয়ে শিশুদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং জীবাণুর সঙ্গে মোলাকাত প্রয়োজন শিশুর।ঘরের মধ্যে আবদ্ধ নয়, বরং খোলা আকাশের নিচে, ধুলো, কাদামাটি মেখে শিশুদের খেলতে দিতে হবে। নখের নিচে ময়লা, নাক-মুখের চারপাশে কাদামাটি, ঘাস-পাতা মাখা পোশাকে ফিরে আসে শিশু। এটাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দাবি বিশেষজ্ঞদের। নিয়মিত গরম জলে স্নান ছাড়তে হবে।প্রতিদিন শিশুকে স্নান করানোরও প্রয়োজন নেই। ঘাস-পাতা মাখা শিশুর পোশাক প্রতিদিন গরম জলে ভাল করে ধোয়ার অভ্যাস ছাড়লেও চলবে। একটু-আধটু নোংরা ঘাঁটায় ছাড়। ধুলো-কাদা একটু-আধটু মুখে গেলেও ক্ষতি নেই। তবে, নির্ধারিত সময়ে টিকাকরণ মাস্ট।

Related Posts

Leave a Reply