May 8, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

কুরুপ পাকিস্তানে আইনে নেই ধর্ষণের বিচার 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

য়নাব নামে ছয় বছর বয়সী এক শিশুর ধর্ষণের পর পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার মারাত্মক এক অসঙ্গতি নতুন করে উঠে এসেছে জনসম্মুখে। ধর্ষকরা আইনের ফাঁক গলে পাকিস্তানে দিব্যি মুক্তি পেয়ে যায়। এ কারণে অপরাধী একের পর এক অপরাধ করতে উৎসাহিত হয়।

পাকিস্তানে প্রচুর ধর্ষণ হলেও তার বিচারের কাজটি খুবই দুরুহ। আর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার কারণে প্রায়ই ধর্ষণের শিকার নারী কিংবা স্বজনরা বিচারের আশা ছেড়ে দেয়।

পাকিস্তানের ধর্ষণের আইন ১৯৭৯ সালে সামরিক শাসক জিয়াউল হক পরিবর্তন করেন। তিনি ‘হুদুদ অর্ডিনেন্স’-এর আওতায় পাঁচটি অধ্যাদেশ জারি করেন। এ অধ্যাদেশ কখনোই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তোলা হয়নি।

এতে পাকিস্তান পেনাল কোডে পরিবর্তন এনে ইসলামিক আইনের সংমিশ্রণ ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। তবে এতে ধর্ষণের সঙ্গে ব্যাভিচারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। এতে বিচারপ্রার্থীদের ধর্ষণের বিচার পাওয়া যেমন কঠিন হয়েছে তেমন তাদের মিথ্যা বা ভুলভাবে দায়ী করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তানের মহিলাদের অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সামাজিক নানা প্রথার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে তাঁরা সহিংসতা ও নির্যাতনকে নিজেদের জীবনের একটা অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছেন, এমনকি ধর্ষিত হলেও তা মেনে নিচ্ছেন তাঁরা৷ কেননা যাঁরাই আইন আদালতের আশ্রয় নেন, সুবিচারের আশায় তাঁদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়৷

কিছুদিন আগে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বালিঘুর রেহমান পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে এ ধরনের একটি বিষয় উপস্থাপন করেন৷ যেখানে বলা হয় রাজধানী ইসলামাবাদে গত পাঁচ বছরে ১০৩টি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে, কিন্তু এতে একজনকেও শাস্তি দেয়া হয়নি৷

পাকিস্তানের নারী অধিকার কর্মী সারাহ জামান জানান, পাকিস্তানে পুলিশ ও আদালতের জিজ্ঞাসাবাদের ভয়ে ৭০ ভাগ ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয় না৷ কেননা ধর্ষণের ঘটনায় দণ্ড প্রদানের ঘটনা বিরল, মাত্র ২ শতাংশ৷

এসব কারণে পাকিস্তানে পুরনো ধর্ষণের আইন পাল্টে নতুন আইনের দাবি করছেন বহু মানুষ। তবে তাদের সে দাবি কবে পূরণ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

Related Posts

Leave a Reply