May 4, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

আপনার প্রিয় খাবারে দেওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান জানলে চমকে উঠবেন 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

মানুষের খাদ্য তালিকাটা বহু পুরনো। এতে নতুন নতুন কিছু যোগ হয়ে থাকে। কিন্তু যুগ যুগ ধরে মাছ-ভাতের মতো অনেক পরিচিত খাবারই মানুষ বছর বছর খেয়ে আসছে। অনেক পরিচিত জনপ্রিয় খাবার উৎপাদনের সময়ই যে এতে কৃত্রিম রং, অ্যাডিটিভ এবং অন্যান্য উপাদান মিশ্রিত হয়, তা অনেকেই জানেন না। এখানে জেনে নিন সেইসব খাবার প্রসঙ্গে।

১. মুরগি : পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিতে মুরগির দেহে যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়, সে কথা অনেকেই জানেন না। মূলত রোগ থেকে দূরে রাখতেই কাজটি করা হয়। কিন্তু এগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বলেই প্রচার চালায় তারা। অর্গানিক ফার্মিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না ব্যবহার করতেই বলা হয়। আসলে তারা সুস্থ থাকলেও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। কারণ বিক্রি হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা যেন সুস্থ থাকে।

২. ব্রেড, চিপস এবং মিল্ক পাউডার : অ্যাডিটিভ ব্যবহৃত হয় প্রিজারভেটিভ হলে। খাবারের নির্দিষ্ট রং ও চেহারা দিতেই ব্যবহার করা হয় এগুলো। কিছু প্রিজারভেটিভ খাওয়াটা নিরাপদ। কিন্তু অনেকগুলো এতটাই মারাত্মক যে অনেক দেশে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, বুটিলেটেড হাইড্রোক্সিটোলুয়েনে নামের এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এ কথা জানান অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফুড সেফটির কমপ্লিয়ান্স গ্রেস স্মিথ এ কথা জানান। এটি খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। মিল্প পাউডার, ভোজ্য তেল, ওয়ালনাট এবং নাট কার্নেলের মতো খাবারে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বেকারির খাবার ও ডেজার্টে দেওয়া হয় মারাত্মক ক্ষতিকর পরিডেক্সট্রোজ। আলুর চিপস তৈরিতেও ব্যবহৃত হয় ক্ষতিকর অলেস্ট্রা।

৩. কাঁচা মাংস : মাংসকে টাটকা দেখাতে দেওয়া হয় সালফার ডিঅক্সাইড। অথচ তা ব্যবহার নিষিদ্ধ উপাদান। বিশেষ করে যাদের অ্যাজমা রয়েছে তারা এই উপাদানটি সহ্য করতে পারেন না। ফুড স্ট্যান্ডর্ড কোডের মাধ্যমে এর ব্যবহার কঠোরভাবে দমন করা উচিত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

৪. চাল ও মসলা : কীটনাশ, আর্সেনিক, সীসা এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ডিডিটি ব্যবহৃত হয় এসব খাদ্য পণ্যে। ভারতে বিখ্যাত এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলায় কীটনাশকের অস্তিত্ব মিলেছে। কোহিনূর বাতমতি চালেও মিলেছে কীটনাশক বুপ্রোফেজিন। এসব খাদ্য পণ্য অস্ট্রেলিয়াল রপ্তানি করার পর কর্তৃপক্ষের পরীক্ষায় ধরা পড়ে।

Related Posts

Leave a Reply