May 4, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

ভাগ্য পাল্টে যাবে বাড়িতে এই ১২টি গাছ রাখলে ! কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

মানুষ গাছপালা পরিচর্যা করার মাধ্যমে, শুভকামনা এবং কর্মফল উপার্জন করে। শুধু তাই নয়, আমাদের চারপাশে গাছপালা থাকার আরও অনেক আধ্যাত্মিক সুবিধাও রয়েছে। বাস্তু শাস্ত্র, যা ভারতীয় স্থাপত্যের একটি প্রাচীন বিজ্ঞান, এমন কিছু ভাগ্যবান বা শুভ গাছপালা সম্পর্কে বলে যেগুলি, কারুর জীবনে সৌভাগ্য বয়ে আনে। তবে আসুন, এই শুভ গাছপালাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক –
১) তুলসী গাছ : এটি ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত একটি উদ্ভিদ। হিন্দু ধর্মে, এই গাছটির বিশাল তাৎপর্য রয়েছে এবং এটি শুভ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই উদ্ভিদটি সমস্ত নেতিবাচক দিক থেকে রক্ষা করে। এর কিছু ঔষধি গুণও রয়েছে। যেমন – তুলসী পাতা কাশি, সর্দি এবং ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, তুলসী গাছ উত্তর, পূর্ব বা বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করা উচিত।

২) বাঁশ গাছ : বাঁশ গাছকে দীর্ঘায়ু, সমৃদ্ধি এবং সুখের চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি নেতিবাচক শক্তি থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে বলে, শুভ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি আপনি সম্পদের আশীর্বাদ চান তবে, এই গাছকে আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে স্থাপন করা দরকার। এছাড়া, ভাল স্বাস্থ্যের জন্য আপনি এটি পূর্ব দিকে স্থাপন করতে পারেন। কিন্তু, অবশ্যই কেউ শোবার ঘরে এই গাছটিকে রাখবেন না।

৩) মানি প্ল্যান্ট : বলা হয়, এই গাছটি নাকি খুবই সৌভাগ্যদায়ী এবং চারপাশের পরিবেশকে ইতিবাচক শক্তিতে পরিপূর্ণ করে। এটি ক্ষতিকারক রেডিয়েশন শোষণ করে তাই, অনেকেই টেলিভিশন সেট বা রেফ্রিজারেটরের কাছে এটি স্থাপন করে। যারা উদ্বেগ ও মানসিক চাপে ভুগছেন তাদের উচিত, বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে মানি প্ল্যান্ট স্থাপন করা। তবে, অবশ্যই গাছটিকে একদম বাড়ির বাইরে রাখবেন না।

৪) অ্যালোভেরা গাছ : অ্যালোভেরা হল আরও একটি শুভ উদ্ভিদ, যার মধ্যে প্রচুর ঔষধি গুণাবলী রয়েছে। গাছটি বেশিরভাগ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন নিঃসরণ করে। এটি উত্তর বা পূর্ব দিকে রাখা উচিত। অ্যালোভেরা জেল তাৎক্ষণিকভাবে জ্বলন্ত স্থান নিরাময় করতে পারে। এছাড়াও, এর জেল আমাদের চুল এবং ত্বকের জন্য বেশ উপকারি।

৫) স্পাইডার প্ল্যান্ট : এই গাছগুলি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগে তবে, আপনি এগুলিকে টবে করে মাটিতেও রাখতে পারেন। এর মধ্যে বায়ু-শোধক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এই গাছগুলি সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্য নিয়ে আসে। কেন মহেশ্বরকে হলুদ দিয়ে পুজো করবেন না? জেনে নিন এর আসল কারণ ৬) পদ্ম পদ্ম, হিন্দু ধর্মে দেবী লক্ষ্মী এবং বৌদ্ধধর্মে ভগবান বুদ্ধকে বোঝায়। এই উদ্ধিদ পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রে সমৃদ্ধি এবং শান্তি বয়ে আনে। যারা আধ্যাত্মিক, তারা এই গাছটি নিজের বাড়িতে রাখতে পারেন। আধ্যাত্মিক সুবিধা ছাড়াও গাছটির কিছু ঔষধি গুণও রয়েছে।

৭) জুঁই : সুন্দর সুগন্ধের কারণে জুঁই বিশেষ বিখ্যাত। এর সুন্দর সুবাসে যে কেউ মোহিত হয়ে যেতে পারে। আপনার ইতিবাচক শক্তি উৎপন্ন করতে এবং আপনার স্নায়ু প্রশমিত করার জন্য আপনি এটি আপনার কর্মক্ষেত্রে রাখতে পারেন। বাড়িতে রাখার সময়, আপনাকে অবশ্যই এটি উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে রাখতে হবে। তবে, যদি আপনার দক্ষিণ মুখি জানালা থাকে তবে, আপনি সেদিকেও এটি রাখতে পারেন।

৮) পিস লিলি : বিশ্বাস করা হয়, এই উদ্ভিদটি পরিবারে ঐক্য এবং শান্তি বয়ে আনে। যাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরতে চলেছে তারা এই উদ্ভিদটি থেকে উপকৃত হতে পারেন কারণ, এটি ইতিবাচক শক্তি উৎপন্ন করে এবং যেকোনও নেতিবাচক দিক থেকে মুক্তি দেয়। কিংবদন্তিরা বিশ্বাস করেন যে, এটি নতুন সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করে এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্প্রীতির প্রচার করে।

৯) জেড প্ল্যান্ট : এই ছোট্ট গাছটি দেখতে খুব সুন্দর হয়। এই উদ্ভিদ বেশ ভাগ্যবান হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বিশ্বাস করা হয় যে, এটি সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। সাধারণত এই গাছগুলি বাড়ির প্রবেশদ্বারে রাখা হয়। বলা হয় যে, এই উদ্ভিদটি নেতিবাচক শক্তি বন্ধ করে দেয় এবং স্বাস্থ্য, সম্পদ ও ভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। আপনি এটি আপনার কর্মস্থলেও রাখতে পারেন।

১০) রবার গাছ : আপনার অর্থ বৃদ্ধির জন্য, আপনি যেখানে অর্থ এবং গহনা রাখেন সেখানে এই গাছটি রাখতে পারেন। সৌভাগ্যের জন্য আপনার বাড়িতে এটি রাখতে পারেন।

১১) অর্কিড : বিশ্বাস করা হয়, এই গাছগুলি জীবনে সমৃদ্ধি এবং শান্তি বয়ে নিয়ে আসে। অর্কিড গাছের ফুল কারুর জীবনে শান্তি এবং ইতিবাচকতা নিয়ে আসে। নবদম্পতিরা এবং যাদের সবেমাত্র সন্তান হয়েছে তারা এই শুভ উদ্ভিদটি থেকে উপকৃত হতে পারেন। নেতিবাচক দিকগুলি দূরে রাখতে আপনি এই গাছটি আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখতে পারেন।

১২) পাম : এই উদ্ভিদটি কেবলমাত্র আমাদের জীবনে ইতিবাচকতা বয়ে আনে না, পাশাপাশি, এটি বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তৈরি করে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই উদ্ভিদ বাতাসকে বিশুদ্ধ করে এবং ক্ষতিকারক বিকিরণ শোষণ করে। এছাড়াও, এটি সৌভাগ্য বয়ে আনে।

Related Posts

Leave a Reply