May 5, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

নাক এবং কানে গয়না পড়েন নিশ্চই, ফল কি জানেন 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

খন ফ্যাশন মানেই সাবেকি শাড়ি, সঙ্গে নাকে, কানে মানানসই দুল। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে নাকে কানে অলঙ্কার পড়ার অনেক ইতিবাচক দিকও আছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এই নিয়মগুলির অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন- নাকে, কানে দুল পড়লে তা আকুপাংচারের কাজ করে। অর্থাৎ শারীরিক এবং মানসিক নানা সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, কানে দুল পড়লে আমাদের কানের লতিতে চাপ পড়ে।
দেখে নেওয়া যাক কিভাবে নাক আর কানের দুল আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
১. সন্তান ধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: বিজ্ঞানসম্মতভাবে মহিলাদের নাকের বাম দিক জনন অঙ্গের সঙ্গে যুক্ত। এই কারণে নাকে নাকছাবি পড়লে তা সরাসরি জনন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে। ফলে নারীদের গর্ভধারণে কোনও সমস্যা থাকলে তা প্রতিহত হয়, সেই সঙ্গে সহজে গর্ভধারণের পথ প্রশস্ত হয়। 

২.প্রসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে: নাকের বাম দিকে নাকছাবি পড়লে প্রসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এমনই বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে ভারতের বহু গ্রামাঞ্চলে। তারা মনে করেন, নাকছাবি পড়লে সন্তান প্রসব অনেকটাই বেদনাহীন হয়ে যায়। 

৩. ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা দূর করে: নাকের বাম দিকে নাকছাবি পড়লে তা ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য করে। এই কথাটি শুনতে হয়তো আজবল লাগতে পারে, কিন্তু অনেকের ধারণা বাস্তবিকই নাকছাবির সঙ্গে এমন ধরনের যন্ত্রমার বাড়া-কমার সরাসরি যোগ রয়েছে। 

৪. মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে: কানে দুল পড়লে শুধু যে সুন্দর দেখায়, তা কিন্তু নয়! এটি আমাদের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আসলে দুল পড়ার কারণে মস্তিষ্কের বিশেষ বিশেষ অংশে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের জোগান বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। 

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে: কানের ঠিক মাঝামাঝি অংশে দুল পড়া খুবই ভাল। কানের এই অংশটিতে ক্রমাগত চাপ পড়তে থাকলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর হয় কানে দুল পড়লে। 

৬. স্পার্ম কাউন্ট বেড়ে যায়: অনেক পুরুষকেই কানে দুল পড়তে দেখা যায়। কেউ পড়েন বংশ পরম্পরার কারণে, তো কেউ পড়েন শুধুই ফ্যাশনের খাতিরে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে পুরুষেরা কানে দুল পড়লে স্মার্ম কাউন্ট চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। ফলে বাচ্চা হওয়া ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধাই হয় না। 

৭. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: আকুপাংচারের নিয়ম অনুযায়ী, কানের মধ্য অংশের সঙ্গে সরাসরি চোখের যোগ থাকে। এই কারণেই তো কানের এই অংশে দুল পড়লে দৃষ্টিশক্তি উন্নতি ঘটতে শুরু করে। 

৮. শ্রবণ ক্ষমতা বাড়ে: কানের ছিদ্রে যে আকুপাংচার পয়েন্ট থাকে, তাকে মাস্টার সেন্সর এবং মাস্টার সেরেব্রাল বলা হয়ে থাকে। কানের এই অংশটিই আমাদের শ্রবণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই কারণেই তো কানে দুল পড়লে শ্রবণশক্তির উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে কানে দুল পড়লে ধনুষ্টঙ্কার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

Related Posts

Leave a Reply