May 5, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

সম্পর্কের ক্ষেত্রে এরা কতটা বিশ্বস্ত জানার পরই এগোন

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ম্পর্ক টিকিয়ে রাখার বড় এক শর্ত বিশ্বাস। সঙ্গী-সঙ্গিনী কতটা বিশ্বস্ত তা সবার আগে জানাটাই যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। মানুষের আচার-আচরণ কিংবা চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণে বোঝার চেষ্টা করা হয় তাকে কতটা বিশ্বাস করা যায়। আজ এখানে সে বিষয়ে আলোচনা থাক। এখানে জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিভঙ্গীর বয়ান করা হলো। এই শাস্ত্র কী বলে তা অনেকেই জানতে চান। এখানে জেনে নিন, জ্যোতিষশাস্ত্র কোন রাশির জাতক-জাতিকাকে সম্পর্কে কতটা বিশ্বস্ত বলে মনে করে। জোতিষশাস্ত্রকে অবশ্য সমর্থন করে না বিজ্ঞান। কিন্তু অনেকেই এর প্রতি দারুণ আগ্রহী।

ধনু  : এদের কোনো কিছুনেই কোনো কেয়ার নেই। কোনো বিষয়ে সততা দেখানোরও দরকার বলে মনে করেন না। কিন্তু অনেক সময়ই আবার তারা এতটাই বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন যে, তখন তাদের কঠোরতায় ভুল বোঝেন অনেকে। একজন ধনু রাশির জাতক-জাতিকা তার বিপরীতের কাছ থেকে একই ধরনের বিশ্বস্ততা আশা করেন। আবার এদের সঙ্গে মিথ্যাচার চলে না। কারণ, তারা অসততা সূক্ষ্মভাবে ধরতে পারে।

মেষ : তাদের সততা রীতিমতো নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে চলে যায়। নিজেদের দেওয়া কথার বরখেলাপ তারা কখনই করেন না। নিজেরা বিশ্বাস করেন তার জন্যে সংগ্রামে নামতেও প্রস্তুত থাকেন। কেউ যদি সঙ্গী-সঙ্গিনীকে বিশ্বাস্ততার সঙ্গে ভালোবাসেন, তবে মেষরাই সেরা সঙ্গী-সঙ্গিনী হতে পারেন।

সিংহ : সত্যিকার সিংহের মতোই এ রাশির জাতক-জাতিকারা। সত্য যত তিক্তই হোক, তারা বলতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না। সিংহ তাদের নেতৃত্বের গুণের জন্যে সুপরিচিত। তাই তারা নিজেরা সঙ্গী-সঙ্গিনীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন। আর তার কাছ থেকেও একই বিশ্বস্ততা আশা করেন। তারা নিজেদের সততা নিয়ে গর্বিত থাকেন। এই ইমেজ কখনও নষ্ট হতে দেন না।

কর্কট :  এরা আত্মকেন্দ্রিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তাদের ভালোবাসায় বিশ্বাস মিশে থাকে। মাঝে মাঝে অবশ্য তারা সত্যকে কিছুটা ঘষামাজা করার চেষ্টা করেন। এটাও করতে হয় তারা খুব বেশি স্পর্শকাতর বলে। যদি মনে হয় যে কোনো সত্য অন্যকে আঘাত করবে, তবে তা প্রকাশে ভাবনা-চিন্তা চলে আসে তাদের। সম্পর্কেও সৎ হওয়ার আগে তারা এর ভালো-মন্দ চিন্তা করে নেন।

কন্যা : ততার বিষয়টি আসলে কন্যা রাশির মানুষরা সব সময় সঠিক বা উচিত বিষয়ের দিকে মনোযোগী হন না। যাদের ভালোবাসেন, তাদের আবেগে নেতিবাচক অনুভূতি না ছড়াতে কিছুটা মিথ্যারও আশ্রয় নিতে পারেন তারা। তারা পরিস্থিতির বিচারে নিজেকে বদলে নেন। তবে কাউকে আঘাত করার ইচ্ছা তাদের নেই।

বৃষ : এরা শান্তিপ্রিয়। যুদ্ধ এড়াতে এরা যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত থাকেন। শান্তি রক্ষায় যদি মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে বলে মনে হয়, তবে তারা তাই করবেন। এর জন্যে সততা বর্জন করতে কিন্তু তাদের মনে কোনো খেদ থাকবে না। তারা বোঝাপড়ায় নামতে ইচ্ছুক নন। অস্বস্তিকর যেকোনো পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে সচেষ্ট থাকেন। সম্পর্কে ভারসাম্য ধরে রাখতে তারা মিথ্যাচারে অভ্যস্ত হতে পারেন।

বৃশ্চিক : এরা এমনিতেই খুবই কৌশলী। তাদের কাছে সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা নয়। কোনো পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে সততা ত্যাগে আগ্রহী তারা। সত্যিকার প্রেমে জড়ালে তারা খুবই বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন। তবে বিনিময়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী-সঙ্গিনী মিলতে হবে।

মকর : সম্পর্কে এদেরকে দক্ষতাপূর্ণ মিথ্যুক বলে অভিহিত করা হয়। কারণ তাদের মিথ্যাচার অনেক সময় এতটাই রঞ্জিত হয় যে তার ভেতরে আরো অনেক মিথ্যা স্তরীভূত হয়। এরা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চান না। আর তা বলতে গেলেও কিছু অসত্য প্রকাশে কার্পণ্য করেন না। তবে সঙ্গী-সঙ্গিনীর কাছে বিশ্বস্ত হয়ে উঠতে পারেন সহজে।

কুম্ভ  : অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি হতে ঘৃণা করেন এই রাশির জাতক-জাতিকারা। এড়িয়ে চলতে মিথ্যা বলতে পারেন সহজে। তারা জানেন কীভাবে বিশ্বাসযোগ্য ‘মিথ্যা গল্প’ তৈরি করতে হয়। তারা সত্যও বলেন, তবে তার আগে নিশ্চিত হয়ে নেন যে এটা গ্রহণ করতে অপরপক্ষ প্রস্তুত আছেন কিনা।

মীন : এটা সুদক্ষ মিথ্যুক। এমনকি মাঝে মধ্যে নিজেদের মিথ্যায় নিজেরাই ধন্দে পড়ে যান। আসলে তারা কাউকে দুঃখ দিতে চান না। তাই মিথ্যাচার করেন। এ কারণে ক্ষতি হবে না এমন মিথ্যা বলতেই পছন্দ করেন।

তুলা : ভুল প্রমাণিত হতে আপত্তি তাদের। আর নিজেদের সত্য প্রমাণে যেকোনো কিছু করতে পারেন। কেউ তাদের মিথ্যাচার ধরে ফেললে নিজে তা মেনে নিতে চান না। এর জন্যে একহাত দেখে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদের মিথ্যাগুলো শঠতাপূর্ণ হয় না। প্রয়োজনের খাতিরে মিথ্যা বলেন।

মিথুন : বলা হয়, এদের মধ্যে সবকিছু যমজ আকারে থাকে। কোনো ঘটনাকে সবাই যেভাবে দেখেন, তার পাশপাশি ভিন্নভাবেও দেখতে পান এই রাশির জাতক-জাতিকারা। আর সেই ভিন্ন দৃষ্টিকে বিশ্বাস করতেও পছন্দ করেন। তবে এমন কিছু গল্প তৈরি করে ফেলেন যা বাস্তবে ঘটেনি। মিথ্যাচার অনেক সময়ই তাদের দ্বিতীয় স্বত্ত্বা হয়ে ওঠে।

Related Posts

Leave a Reply