May 1, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

আয়ু রেখায় এই দাগ থাকলে ভাগ্যে যা ঘটে….

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
র্জনী ও বৃদ্ধাঙুলের মাঝ থেকে উঠে আসে হাতের কবজির দিকে নিম্নগামী রেখাটি আয়ু রেখা নামে পরিচিত। আয়ু রেখা থেকে জাতক-জাতিকার স্বাস্থ্য ও আয়ু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

আয়ু রেখায় কাটাকাটি না থাকা শুভ। কাটাকাটি থাকলে জীবনে নানা রকমের চড়াই উতরাই পার হতে হয়। বিশেষ করে তা জীবনের বিশেষ কিছু সময়ে অশুভ ঘটনার পূর্বাভাস দেয়।

আয়ু রেখাকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। ক্ষেত্র ১ থেকে দেখা হয় শৈশবকাল, ক্ষেত্র ২ থেকে দেখা হয় যৌবনকাল। ক্ষেত্র ৩ থেকে দেখা হয় বার্ধক্যকালীন সময়।

ক্ষেত্র অনুযায়ী ফলাফল হয় বিভিন্ন। শারীরিক ও মানসিক দিক কেমন যাবে তা জানা যায় আয়ু রেখা থেকে।

আয়ু রেখার আয়তনের ওপর বেশ কিছু বিষয় নির্ভর করে। আয়ু রেখার ক্ষেত্র যদি ছোট হয় তাদের জীবনে নানা ধরনের সংকীর্ণতা লেগেই থাকে। এরা নিজের ভালোবাসার কথা সহজে কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে না। প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়। ক্ষেত্র যদি বড় হয় তবে তা শুভ ফলাফল নির্দেশ করে। যাদের আয়ু রেখার ক্ষেত্র বড় হয় তারা প্রায়ই ভ্রমণ করে।

আয়ু রেখা যদি চেইন বা শিকলের মতো হয়, সেবয়সে বিভিন্ন ধরনের বাধা প্রতিবন্ধকতার নির্দেশ করে। প্রায়ই অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, মানসিক আঘাত, প্রিয় মানুষের বিচ্ছেদ কিংবা প্রেমে ব্যর্থতা নির্দেশ করে।

আয়ু রেখায় দ্বীপ, ক্রস চিহ্ন থাকা অশুভ। এ ধরনের চিহ্ন হাতে থাকলে তাদের মনোবল কম হয়। এছাড়া তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম হয়।

আয়ু রেখার পাশে যুক্ত একাধিক লাইন থাকা শুভ। অনেকের হাতে আয়ু রেখার পাশে একাধিক ছোট বড় আয়ু রেখা থাকে। এ রেখাগুলোকে বলা হয় সাপোর্টিং লাইন। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে উত্তোরণ নির্দেশ করে এ রেখাগুলো।

আয়ু রেখার কোথাও যদি ফাঁকা বা ভাঙা থাকে, সেবয়সে জাতক-জাতিকার কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা কিংবা দুর্ঘটনা নির্দেশ করে। বিশেষ করে কোনো ধরনের অসুস্থতা নির্দেশ করে।

আয়ু রেখা যদি গাঢ় ও গভীর হয় তবে সুঠাম দেহ ও কর্মশক্তির নির্দেশ করে। এরা সাধারণত খুব কম অসুস্থ হয়।

আয়ু রেখার যেখানে খুব বেশি কাটাকাটি থাকে, সেবয়সে শারীরিক কিংবা মানসিক কোনো ধরনের অসুস্থতার নির্দেশ করে। কারো কারো ক্ষেত্রে তা বড় ধরনের অসুস্থতার পূর্বাভাস দেয়।

একজন মানুষ কতবছর বাঁচতে পারেন তার সম্ভাব্যতা দেখা হতো আয়ু রেখা থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই তা সঠিক হয় না। এ ক্ষেত্রটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও রোগব্যধি সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়।

সবকিছু মিলিয়ে পূর্বাভাস থেকে কেউ যদি প্রতিকার গ্রহণ করে তবে তার অশুভ ফল কেটে যায়। কিংবা ভোগান্তি কম হয়। যেমনটি হয় আপনি যদি বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ার পর ছাতা নিয়ে বের হোন তবে তা আপনাকে বৃষ্টি থেকে কিছুটা হলেও সুরক্ষা দেবে।

আয়ু রেখার ত্রুটি দূর করতে দরকার সুষ্ঠু জীবনাচার ও সংযম। সঠিক খাদ্যা্ভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও রুটিনমাফিক জীবনযাপন আপনার জীবনকে করে তুলবে সাফল্য ও আনন্দময়। এতে আপনার আয়ু রেখার ত্রুটিগুলোর প্রতিকারও হয়ে যাবে।

Related Posts

Leave a Reply