May 3, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

৩ নয় ৬ বারের ফল দেখলে মাথা ঘুরে যাবে 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
রিসংখ্যান বলছে যারা রোগা হতে চাইছেন, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই মনে করেন কম খেয়ে রোগা হওয়া সম্ভব। কিন্তু আদতে এমনটা করতে গিয়ে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই তো বেশি বেশি করে খেয়ে রোগা হতে হবে, কম খেয়ে নয়! বলছেন কী মশাই! বেশি খেয়েও ওজন কমবে? একেবারেই! সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে কম খেয়ে বা একেবারে না খেয়ে ওজন কমানো যেতে পারে ঠিকই। কিন্তু এমনটা করলে শীররের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। সেই কারণেই কম না খেয়ে বরং কম পরিমানে বারে বারে খেতে হবে। এমনটা করলে ওজন কমবে বেশ তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দা স্টাডি অব ডায়াবেটিস সংস্থার তত্ত্বাবধানে হওয়া এই গবেষণাটি চলাকালীনদেখা গিয়েছিল কিছু সময় অন্তর অন্তর অল্প পরিমাণে বারে বারে খেলে ক্যালরির মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা যেমন থাকে না, তেমনি মেদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

তাহলে দিনে কতবার খেতে হবে: বেশ কিছু কেস স্টাডি অনুসারে বেশিরভাগ মানুষই দিনে তিন বার খাবার খেয়ে থাকেন। দিনের শুরুতে উপোস ভাঙে ব্রেকফাস্ট দিয়ে। তারপর দুপুরে লাঞ্চ এবং সবশেষে ডিনার দিয়ে দিনের খাবারের কোটা শেষ করি আমরা। এমনটা না করে যদি দিনে ছয়বার খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে পক্ষে খুব ভাল হয়, এমনটাই দাবি গবেষকদের। সহজ কথায় তিনবারের খাবার খেতে হবে ছয় বারে। তাহলে ওজন তো কমবেই, সেই সঙ্গে শরীরেরও উন্নতি ঘটবে। 

কি উপকার ? ৪৭ জন মোটা মানুষ, যাদের মধ্যে কেউ প্রি-ডায়াবেটিক, কেউ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত! এদের দুটি দলে ভাগ করে টানা ৬ মাস ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। একটা দলকে দিনে তিনবার খেতে দেওয়া হয়েছিল। আর আরেক দলকে দিনে ৬ বার। তবে দুটি দলের সদস্যরাই কিন্তু দিনে সম পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করেছিল।
ছয় মাস পর সব রকমের ডেটা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখতে পান যাদের ছয় বারা খেতে দেওয়া হয়েছিল তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। সেই সঙ্গে ওজনও কমেছে চোখে পরার মতো, যা অন্য দলের সদস্যদের ক্ষেত্রে হয়নি। এমনটা দেখার পরই গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে দিনে তিনবারের পরিবর্তে ছয়বার খেলে শুধুমাত্র ওজন কমে না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ওজন সম্পর্কিত নানা সমস্যা, যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়। 
সব শেষে: কী বুঝলেন মশাই! কম খেয়ে রোগা হওয়ার যায়, এমন সেকেলে ধরণাকে আর সঙ্গী করা চলবে না। পরিবর্তে একজন ডায়াটেশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নিতে হবে দিনে কত পরিমাণ ক্যালরি খেলে ওজন কমবে। তারপর সেই মতো দিনের খাবারকে ছয়বারে ভাগ করে নিতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন প্রয়োজনের অধিক ক্যালরি শরীরে জমার সুযোগই পাবে না। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমবে। প্রসঙ্গত, এই নিয়মটি মানার সঙ্গে সঙ্গে যদি হালকা চালে একটু শরীরচর্চা করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। এমনটা করলে ওজন কমে আরও দ্রুত হারে!

Related Posts

Leave a Reply