April 30, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব মেটাতে দিশা ‘আটিপিক্যাল সেন্ট্রিওল’!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ন্তানের জন্মে প্রতিবন্ধকতার জন্য নারী-পুরুষ দু’জনের সমান দায় থাকতে পারে। তবে নারীর বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের বিষয়টি নিয়ে সবাই যেমনটা সোচ্চার ও সচেতন পুরুষের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে ততটা নয়। কিন্তু বিষয়টি খুবই গুরুতর।

যদিও আগে সন্তান না হলে সব দোষ নারীদের ঘাড়ে চাপানো হতো, তবে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করে দেয় যে বন্ধ্যাত্বের শিকার স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষেরও সমস্যা থাকতে পারে। আর পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব নতুন কিছু নয়।

আশার কথা হচ্ছে, সম্প্রতি পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে নতুন দিশা পেয়েছেন টোলেডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। শুক্রাণুর নতুন গতিবিধির পরীক্ষা করে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তারা। তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে বিখ্যাত নেচার পত্রিকায়।

সেখানে প্রকাশিত হয়েছে যে, শুক্রাণু মাথা এবং লেজের সংযোগস্থল বা সেন্ট্রওলটির গতি কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে লেজের গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এমনই দাবি করেছেন গবেষকরা। গবেষকদের দাবি, শুক্রাণু বা স্পার্মের সেন্ট্রিওলটি প্রধাণত অনঢ় প্রকৃতির। সেই স্থানে গতি আনা এক বিরাট আবিষ্কার। আর এটি যদি নিয়মিত নড়াচড়া করে তাহলে শুক্রাণুর গতির বৃদ্ধি পাবে। ফলে তার সক্রিয়তাও বাড়বে। আর দ্রুত গতি সম্পন্ন শুক্রাণু নারীদেহের ডিম্বাণুর সঙ্গে নিষেকে আরও বেশি সক্রিয় হবে। ফলে পুরুষরা অভিশপ্ত বন্ধ্যাত্বের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। এমনকি গর্ভপাত কিংবা জন্মগত ত্রুটি ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। সেন্ট্রিওলের এই নয়া গতির নাম ‘আটিপিক্যাল সেন্ট্রিওল’।

শুক্রাণুর মাথা এবং লেজ যদি একই গতিতে না নড়ে তাহলে সেটি উর্ব্বর ডিম্বাণুর কাছে সঠিক সময়ে পোঁছোতে পারে না। সেক্ষেত্রে সেন্ট্রিওলটি ত্রুটিপূর্ণ হয়। সেই সেন্ট্রিওলটিকেই কৃত্রিমভাবে গতি দিতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর শুক্রাণুর এই অক্ষমতার কারণেই পুরুষের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের নতুন এই আবিষ্কার পুরুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করতে পারবে বলে আশা সকলের। একই আশা বিজ্ঞানীদেরও।

Related Posts

Leave a Reply