May 5, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

কাছের মানুষের মাত্র স্পর্শেই মৃত্যুর দোরগোড়ায় দাঁড়াতে পারেন!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বাক হওয়ার কিছু নেই! ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে চুম্বনের জনপ্রিয়তার পিছনে ভাববেন না ২১ শতকের কোনও অবদান রয়েছে। সেই আদি কাল থেকে ভারতের পাশাপাশি ইজিপ্ট, গ্রিস এবং রোমে এমন সংস্কৃতির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তবে এক্ষেত্রে সমস্যা যে তখনও ছিল না, তা নয়। তবে রোগ সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতা অনেকাংশে তাদের মৃত্যু মুখে ঠেলে দিত যা আজ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে সম্ভব নয়
একথা কি ঠিক, যে চুম্বনের কারনেও এইডস-এর মতো রোগ হতে পারে? চলুন এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালানো যাক। “এইচ আই ভি” এবং আরও কিছু… একাধিক গবষণায় দেখা গেছে এইচ আই ভি বা অন্য কোনও যৌন রোগে আক্রান্ত রোগী যদি কারও সঙ্গে ওরাল সেক্স করে থাকেন তাহলে অপর জনেরও এমনসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, মুখে যদি আলসার অথবা ছোট কোনও কাটা থাকে তাহলে ভুলেও কাউকে চুমু খাওয়া উচিত নয়। কারণ কাটা জায়গা দিয়ে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্য জীবাণুরা প্রবেশ করে যেতে পারে। আর একবার এমন ক্ষতিকর জীবাণুরা আপনার শরীরে ঢুকে গেলে কী হতে পারে তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না।
হার্পিস: 
এমন রোগে আক্রান্তরা কাউকে দয়া করে চুম্বন করতে যাবেন না। কারণ এই রোগের জীবাণু খুব সহজে এক জনের শরীর থেকে আরেক জনের শরীরের ছড়িয়ে যায়। ফলে অল্প সময়ে অনেকে এমন মারাত্মক রোগের শিকার হয়ে পরেন। তাই সাবধান হতে হবে। সেই সঙ্গে দায়িত্ববান হওয়াটাও জরুরি।
গনোরিয়া: 
এক সময় মনে কার হত ওরাল সেক্সের কারণে গনোরিয়ার মতো রোগ হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু গত কয়েক দশকে এই ধরণা একেবারে বদলে গেছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এমন রোগের জীবাণু স্য়ালাইভার মাধ্যমে এক শরীর থেকে আরেক শরীরে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে।
গলার ক্যান্সার: 
একেবারে ঠিক শুনেছেন। ওরাল সেক্সের সঙ্গে এমন ধরনের ক্যান্সারের সরাসরি যোগ রয়েছে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রকাশ করা এক রিপোর্ট অনুসারে ওরাল সেক্সের সময় হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস এক জনের শরীর থেকে আরেক জনের শরীরে প্রবেশ করে এমন মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। প্রসঙ্গত, একথা ঠিক যে চুম্বনের সঙ্গে ক্যান্সারের সরাসরি কোনও যোগ নেই। কিন্তু কার শরীরে এই ভাইরাস আছে, আর কার নেই, তা কি বাইরে থেকে দেখে বোঝা সম্ভব? একাবারেই নয় কিন্তু!
সাবধানতাই এক্ষেত্রে একমাত্র বাঁচার উপায় হতে পারে। কারণ কার শরীর কী রোগ রয়েছে তা সহজে বুঝে ওঠা একেবারেই সম্ভব হয় না। তাই তো এমন কিছু করা উচিত নয়, যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ভুলে গেলে চলবে না যে সাময়িক আনন্দ, জীবনের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

Related Posts

Leave a Reply