April 28, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

খেয়াল রাখুন, যেকোন অসুখের আগে হার্ট সংকেত পাঠায় …

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
পনি হয়ত জানেন,পৃথিবী জুড়ে হার্টের সমস্যা মানুষের মৃত্যুর অন্যতম বড় একটা কারণ। অনেকেই এই কারণগুলোকে সেরকম গুরুত্বই দেয় না, ছোটোখাট ব্যাপার ভেবে। আপনার প্রতিটি হৃদস্পন্দন মূল্যবান। তাই তো এই সঙ্কেতগুলো অবহেলা করা প্রাণঘাতকও হতে পারে। তাই তো এই প্রবন্ধে আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেতগুলোর কথা একসাথে বলতে চলেছি, যা আপনাদের অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত।
১.পেটটা সবসময় কেমন যেন গুড়গুড় করে : মাঝে মাঝেই পেটটা কেমন যেন পাকিয়ে উঠছে, যেন কোন দড়ি দিয়ে বাধা। হঠাৎ করে বমি ভাব। তখুনি ডাক্তার দেখানো খুব দরকার। বমি ভাব ও হঠাৎ করে বমি হওয়ার মতো ঘটনা হল হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগের সবচেয়ে বড় লক্ষণ।
২.শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া : যদি সামান্য কিছু কাজ করলেই আপনি হাঁপিয়ে পড়েন, সেটা কিন্তু একটা ইঙ্গিত যে আপনার হার্ট সঠিক ভাবে কাজ করছে না। যাদের হার্টের সমস্যা থাকে, তাদের জলীয় পদার্থ ভরে গিয়ে পালমোনারি এডিমা হয়ে থাকে। এর জন্য নিশ্বাস নিতে বেশ অসুবিধে হয় ও বুকের ওপর একটা ভারি চাপের মত অনুভব করে। “ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি এ্যান্ড মর্টালিটি ইন ওল্ডার মেন উইথ ডায়াগনোসড কোরোনারি হার্ট ডিসিস” করা গবেষণায় এরকম তথ্য কিন্তু পাওয়া গেছে।
৩.ঝিমঝিমে ভাব অনুভব হয় : হঠাৎ করে কি আপনার ঝিমঝিম ভাব লাগে? এটা হার্টের অসুখের শুরুর দিকের একটা লক্ষণ। এর কারণ হল আপনার মস্তিষ্কে যথেচ্ছ পরিমাণে রক্ত চলাচল করতে পারছে না, যার ফলে আপনার এই ঝিমঝিম ভাব লাগছে।
৪.ঘাড়ে ব্যথা : বাঁদিকের ঘাড়ে অবশ ভাব বা ব্যথা একটা অন্যতম লক্ষণ হৃদরোগের। ব্যথাটা যদি আস্তে আস্তে ঘাড় থেকে নেমে বুক থেকে আঙুলের ডগায় আসে, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখান উচিত। এটা কিন্তু হৃদরোগের একটা বড় ইঙ্গিত।
৫.সবসময়ই ক্লান্ত লাগা : ইদানীং কী আপনি বেশি ক্লান্ত বোধ করেন? লক্ষণটা এড়িয়ে যাবেন না যেন। কারণ এটা কিন্তু হার্টের আসন্ন সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। হার্টের যখন কোন সমস্যা হয়, তখন স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বিঘ্নিত হয়। এর ফলে শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
৬.খিদে কমে যাওয়া: হঠাৎ দেখছেন যে আপনার খিদে ভাবটা একদম উধাও হয়ে গেছে। এটা কিন্তু চিন্তার বিষয়। খিদে ভাব না থাকা কিন্তু হার্টের সমস্যার শুরুর দিকের লক্ষণ। যদি আপনি মন থেকে আপনার প্রিয় সব খাবারগুলোর দিকে আকর্ষণ বোধ না করেন, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
৭.থাইরয়েডের সমস্যা : হাইপার থায়রয়েড (অতিমাত্রায়) বা হাইপোথাইেয়েড (প্রয়োজনের চেয়ে কম) – দুটোই হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে। হার্টের সমস্যার জন্য রক্ত চলাচল সীমিত হয়ে যেতে পারে, যার ফলে হরমোনের উপস্থিতি ব্যাহত হয় এবং থাইরয়েডের সমস্যাও হয়। “মেটা এ্যানালিসিস :সাবক্লিনিকাল থাইরয়েড ডিসফাংশান এ্যাণ্ড দ্য রিস্ক অফ কোরোনারি হার্ট ডিসিস এ্যাণ্ড মর্ট্যালিটি” শীর্ষক এক গবেষণাতেও এমনটা জানা গেছে।
৮.হঠাৎ মনে হতে শুরু করে যেন সব শেষ হতে চলেছে: হঠাৎ যদি অনুভব করতে শুরু করেন সব কিছু শেষ হতে চলেছে, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুব দরকার। যারা হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তাদের শরীর অক্সিজেনের অভাব ঘটে। ফলে এরকম অনুভূতি আসাটা খুবই একেবারেই স্বাভাবিক একটা ঘটনা।
৯.জল তেষ্টা বেড়ে যায় : যদি সব সময় তেষ্টা পায়, তাহলে বুঝতে হবে এর সাথে হার্টের কিছু সম্পর্ক আছে। তবে অনেক সময় ইলেক্ট্রোলাইট ইম্ব্যালেন্স ও হজমের সমস্যার কারণেও কিন্তু এমন লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
১০.ঘুমের মধ্যে নিশ্বাসের সমস্যা: নাক ডাকা একটা লক্ষণ আপনার হার্টের সমস্যার। সেই সঙ্গে আপনার যদি ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে নিশ্বাসের সমস্যা বোধ হতে শুরু করে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
১১.ঘনঘন সাঁসাঁ করে নিশ্বাস নেওয়া : পালমোনারি এডিমা, একটা হৃদয়ের রোগের সঙ্কেত। এর ফলে আপনি ঘনঘন বা যাকে বলে সাঁসাঁ করে নিশ্বাস নিচ্ছেন হয়ত। আপনার যদি কখনও মনে হয় যে আপনার নিশ্বাস নেওয়ার ধরণে কোন আকস্মিক পরিবর্তন এসেছে, তাহলে একটা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই দরকার।

Related Posts

Leave a Reply