May 4, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বর্ষায় রোগমুক্ত রাখে ও ইমিউনিটি বাড়ায় এই ৯টি খাবার!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
র্ষাকাল আসা মানেই, সঙ্গে করে রোগ-সংক্রমণও বয়ে আসা। বর্ষাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে একটুতেই জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা এবং অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। বাড়িতে রান্না করা খাবার, তাজা ফল, শাকসবজি, মশলা প্রভৃতি খাওয়া উচিত। তাহলে জেনে নিন, বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে কোন ধরনের খাদ্য খাওয়া উচিত।
১) ফল
পীচ, প্লাম, চেরি, জাম, ডালিমের মতো বিভিন্ন মরসুমি ফলে, ভিটামিন এ, সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে বর্তমান। তবে রাস্তার ধারে বিক্রেতাদের থেকে কাট ফল এবং জুস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। তার বদলে বাড়িতেই তাজা ফল কেটে অথবা ফলের রস করে পান করুন। বৃষ্টিভেজা বিকেলে চায়ের আড্ডা জমে উঠুক মিক্স ভেজ পকোড়ার সঙ্গে!
২) ফ্লুইড
বর্ষাকালে খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে তরল খাদ্য অথবা পানীয় অন্তর্ভুক্ত করুন, যেমন – স্যুপ, মশলা চা, গ্রিন টি, জুস, ডাল, প্রভৃতি। এগুলি শরীরকে হাইড্রেট রাখার সাথে সাথে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতেও অত্যন্ত কার্যকরি।
৩) শাকসবজি
লাউ, ইন্ডিয়ান স্কোয়াশ, চিচিঙ্গা, চাল কুমড়ো এবং বিভিন্ন ধরনের শাক ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। তবে কাঁচা শাকসবজির বদলে, রান্না করা কিংবা সেদ্ধ করা শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এতে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
৪) প্রোবায়োটিক দই, ঘোল, পিকেল
ভেজিটেবিলের মতো বিভিন্ন প্রোবায়োটিক, অন্ত্র ভাল রাখে। এই প্রোবায়োটিকগুলি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে এবং অন্ত্রের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৫) প্রোটিন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে এবং অসুস্থতা থেকে সেরে উঠতে, খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য, মুগ ডাল, মসুর ডাল, ছোলা, রাজমা, সয়াবিন, মাছ, ডিম এবং মুরগির মাংস, প্রভৃতি হল স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের দুর্দান্ত উৎস।
৬) আদা-রসুন
আদা-রসুনে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, জ্বর ও সর্দি-কাশির মতো সমস্যাকেও দূরে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও আদা চা গলা ব্যথার উপশম করতেও সহায়তা করে। রসুনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বা অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও বর্তমান। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তুলতে অত্যন্ত উপকারি। এটি তরকারি, চাটনিতে, স্যুপে কিংবা চায়ে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৭) মেথি
মেথি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। মেথি হল খনিজের অন্যতম উৎস। মেথির জল শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও মেথি জ্বর, ডায়াবেটিস এবং হজম সমস্যা দূরে রাখে।
৮) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত জরুরী। মাছ, চিংড়ি, ঝিনুক, বাদাম, আখরোট, পেস্তা, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, প্রভৃতি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের দুর্দান্ত উৎস।
৯) স্প্রাউটস
স্প্রাউটস স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি, বিশেষত বর্ষাকালে। স্প্রাউটস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে এবং জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করে।

Related Posts

Leave a Reply