May 5, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

অবাক হলেও সত্যি : এই বয়সের পর বিয়ে মানেই ডিভোর্স

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ব কিছুরই একটা বয়স রয়েছে। পরিবারের বড়রা সে জন্যেই হয়তো বলে থাকেন, সময়ের জিনিস সময়ে করা ভালো। যেমন ধরুন বিয়ে। অনেকেই থাকেন, যাঁরা বিয়ে করার জন্য ছোট থেকেই উঠে-পড়ে লাগেন। অনেকে আবার নিশ্চিন্তে বসে থাকেন। আড়মোড়া ভেঙে বিয়ের পিড়িতে বসতে বসতে বয়স প্রায় ৪০-এর কোঠায় ঠেকে। তিন দশক আগেও একটা ধারণা ছিল, একটু বেশি বয়সে বিয়ে করলে তা ভালো হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা অন্য কথা বলছে।

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর বিয়ে করলে সে সম্পর্কে ডিভোর্সের সম্ভাবনা ভীষণ বেড়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ভেঙে পড়ছে। ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশিওলজিস্ট নিকোলাস উল্ফিঙ্গার জানাচ্ছেন, বয়সের আগেও ঠিক নয়, পরেও নয়। সঠিক বয়সে বিয়ে করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুখী বিবাহিত জীবনের চাবিকাঠি।

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ২০ বছর বয়সে বিয়ে করে তাঁর ডিভোর্সের সম্ভাবনা একজন ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করা ব্যক্তির থেকে ৫০ গুণ বেড়ে যায়। ২৫-এর পর থেকে প্রতি বছর ১১ শতাংশ করে ডিভোর্সের সম্ভাবনা কমতে থাকে যত ক্ষণ না আপনি ৩২ বছরে পৌঁছচ্ছেন। এটা বিয়ে করার জন্য শেষ আদর্শ সময় হিসাবে ধার যেতে পারে। এর পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। এই বয়সের যত পরে আপনি বিয়ে করছেন, ডিভোর্সের সম্ভাবনাও তত তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকে। যদিও ব্যতিক্রম থাকাটা আশ্চর্য নয়।’ এর সমর্থমে তিনি জানিয়েছেন, বেশি বয়সে অনেক কারণেই বিয়ে হয়। কেউ একাধিক শয্যাসঙ্গিনী নিয়ে থাকেন, কেউ বা কাউকে খুঁজে পাননা বলে বিয়ে করেন না। দুই ক্ষেত্রেই বেশি বয়সের বিয়ে বিপজ্জনক।

যদি আগের পক্ষের স্ত্রীর সন্তান থাকে, তা হলে দ্বিতীয় বিয়ের পর জীবন আরও জটিল হয়। অতীত জীবনের ছায়া এসে বর্তমানকে অন্ধকার করে তোলে। আর তার জন্যই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গণ্ডগোল দেখা যায়। আবার যাঁরা পছন্দ মতো সঙ্গী পান না, তাঁরা অনেকটা বাধ্য হয়ে বা পরিবারের চাপে বিয়ে করেন। সে ক্ষেত্রেও ডিভোর্সের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

Related Posts

Leave a Reply